ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন মোশাররফ করিম

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:২১  
আপডেট :
 ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩২

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন মোশাররফ করিম

নান্দনিক অভিনয়ে আপামর জনসাধারণের কাছে বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। যেকোন চরিত্রে নিজেকে ভেঙে হাজির হন নতুনত্ব নিয়ে। একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে নিজেকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন।

সদ্য ঘোষিত হওয়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কমলা রকেট' ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার দেয়া হয়েছে মোশাররফ করিমকে। নন্দিত এই অভিনেতাকে পুরস্কার দেওয়া হলো কমেডিয়ান হিসেবে যেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে।

অথচ মোশাররফ করিম যে চরিত্রটি ছবিটিতে প্লে করেছেন সেটা কমেডি চরিত্র নয়। তাহলে কোন দিক থেকে তাকে কমেডি চরিত্রে পুরস্কৃত করা হলো? প্রশ্ন সকল মোশাররফ করিম ভক্তদের। এমতাবস্থায় মোশাররফ করিম জানালেন এ পুরস্কার নিচ্ছেন না তিনি।

তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিয়ে মোশাররফ করিম তার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ৭ নভেম্বর দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় আমি নিজের নামও দেখতে পেয়েছি। নুর ইমরান মিঠু পরিচালিত 'কমলা রকেট' চলচ্চিত্রের জন্য আমাকে ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্টদের।

তার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে তিনি লিখেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে আমার কিছু কথা রয়েছে। তার আগে সবাইকে অবগত করতে চাই, কৌতুকপূর্ন বা কমেডি চরিত্র আমার কাছে অন্যসব চরিত্রের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু 'কমলা রকেট' চলচ্চিত্রে আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি সেটি কোনোভাবেই কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালকসহ সহশিল্পীরা নিশ্চয় অবগত আছেন। একই সঙ্গে যারা ছবিটি দেখেছেন তারাও নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন 'কমলা রকেট' এ আমার অভিনয় করা ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কোনো কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলির একটি।

তাই, সন্মানিত জুরি বোর্ডের কাছে আমার অনুরোধ, 'শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে' আমার জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিলে ভালো হয়। না হলে আমার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

আমি কাজটাকে ভালোবেসে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্খিসহ সকলের কাছে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। একই সঙ্গে যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি আরও লিখেন, এই মুহুর্তে আমি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। তাই লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হলো। আশা করছি পরিস্থিতিটি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত