ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখের গল্প

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩০  
আপডেট :
 ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩৯

বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখের গল্প
ফাইল ছবি

শাহরুখের জন্ম দিল্লিতে। তার বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকায় তিনি তার দাদা-দাদীর কাছেই বেড়ে ওঠেন। তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর চলে যান মুম্বাইতে। তার অভিনয়ের ঝোঁক আর দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে ১৯৮৮ সালে অভিনয়ের সুযোগটাও পেয়ে যান। ১৯৮৮ সালে প্রথম টিভি সিরিয়ালে অভিনয়ের করেন বলিউডের ‘বাদশা’। এরপর ‘ফৌজি’ ও ‘সার্কাস’ সিরিয়ালে তার অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ে তিনি।

১৯৯১ সালে বড় পর্দায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দেন শাহরুখ। তবে ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ ছবির হাত ধরে রূপালি পর্দায় তার আত্মপ্রকাশ হয়। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

সেই সময়ে প্রচলিত নায়কের চরিত্রের ধারার একদম বিপরীতে গিয়ে ভিন্নধারার চরিত্র বাছতে শুরু করেন শাহরুখ। ‘ডর’, ‘আঞ্জাম’ বা ‘বাজিগর’ ছবিতে ‘নেতিবাচক’ বা খল চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়োয়।

১৯৯৪ সালে ‘কভি হা কভি না’ ছবির রোম্যান্টিক হিরো চরিত্রের অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে যান। ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সাল ছিল শাহরুখের প্রেমিক চরিত্রে অভিনয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘পরদেস’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘মহব্বতে’, ‘কভি খুশি কভি গম’ ইত্যাদি ছবিতে তার অভিনয় দর্শকদের মন জিতে নেয়। একই সময়ে মনিরত্নম ও কমল হাসানের মতো অন্য ধারার পরিচালকের সাথেও কাজ করেছেন তিনি, যা তার ক্যারিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করে।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০২ থেকে ২০০৩- এই দু’বছর তেমন ভালো কাটেনি। হাতে খুব বেশি কাজও ছিলো না। কিন্তু তার জনপ্রিয়তা তাতে কমেনি। ২০০৪ সালে ‘ম্যায় হু না’ ছবির ব্যাপক সাফল্যই তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। ওই সময়েই সংস্থা ‘রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট’ গড়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তখন ‘পহেলি’ বা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ ছবিতে অভিনয় করে নিজের অভিনয়ের ব্যাপ্তিও বাড়িয়ে নেন শাহরুখ। টেলিভিশনে সঞ্চালকের ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাকে। ‘কৌন বনেগা করোরপতি’ ও ‘ইন্ডিয়া নই সোচ’-এর শাহরুখকেও ভোলার নয়।

এছাড়া শাহরুখ প্লে ব্যাকও করেছেন ‘জোশ’ ছবিতে। বন্ধু ও অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে মিলে আইপিএল-এর একটি দল ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স’ কিনেছেন। এছাড়া বহু সমাজসেবামূলক সংস্থার হয়েও কাজ করেছেন তিনি।

২০১৪ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে শাহরুখের ক্যারিয়ারে কিছুটা খরা দেখা যেতে থাকে। ‘জিরো’, ‘দিলওয়ালে’ বা ‘জব হ্যারি মেট সেজাল’ সেভাবে সাফল্য পায়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রইস’ বদলে দেয় এই ধারা। ২০১৮ সালে ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ ছবিতে এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের চরিত্রে অভিনয় অভিনেতা শাহরুখকে দর্শকের সামনে নতুনভাবে তুলে ধরে।

বড়পর্দার ক্যারিয়ারে ওঠানামা, ছোটপর্দায় সাফল্য থেকে রাজনৈতিক বিতর্ক- সবকিছুই আছে শাহরুখের ত্রিশ বছর পেরিয়ে যাওয়া কর্মজীবনে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী, ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ছাড়াও দেশ-বিদেশের বহু সাম্মানিক উপাধি। পাশাপাশি পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত