ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৩ বছর আগের স্মৃতিটাই বারবার মনে পড়ে: দীপা খন্দকার

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৪৯  
আপডেট :
 ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:১০

১৩ বছর আগের স্মৃতিটাই বারবার মনে পড়ে: দীপা খন্দকার

নব্বই দশকের শেষ দিকে এসে যেই কয়েকজন অভিনয় গুণে টিভি পর্দা মাতিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম দীপা খন্দকার। প্রায় দুই যুগ সময় ধরে এখনও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। রুপে,গুণে কিংবা অভিনয়ে কোন কিছুতেই যেন এখনও কম নয়। দিন যতই যায়, বয়স ততই বাড়ে, কিন্তু তারুণ্যের ছোঁয়া যেন এখনও তার পিছু ছাড়েনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নন্দিত এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জন্মদিনে তার আলাদা কোন পরিকল্পনা নেই। ছেলে-মেয়ে আর পরিবার নিয়েই দিনটি আনন্দের সাথে পালন করেন।

জন্মদিনের পরিকল্পনা নিয়ে দীপা খন্দকার বলেন, আমি জন্মদিনে তেমন বিশেষ কোন আয়োজন বা কিছুই করিনা। পরিবারের সাথেই থাকি। ছেলে-মেয়ে, স্বামী এদেরকে নিয়েই আমার আনন্দ। তবে আজকে সন্ধ্যার পর অভিনেত্রী ফারজানা চুমকীর বাসায় যাব। আজ গতকাল তার জন্মদিন ছিল, আজ ওর ছেলের জন্মদিন। সন্ধ্যার পর সময়টুকু সেখানেই থাকবো।

জন্মদিনের মজার স্মৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বলতে গেলে উল্লেখ করার মত তেমন কোন স্মৃতি নেই। আমার কাছে প্রতিটা জন্মদিনই আনন্দের, সবার ভালোবাসা পাই। এটাই আমার কাছে ভালো লাগে। এখনও যখন এক এক বছর চলে যায়, সবাই আমাকে শুভেচ্ছা জানাই, তখন এটাই ভাবি এখনও মানুষ মাকে কতটা ভালোবাসে। এই ভালোবাসাটুকু নিয়েই অনেকটা জীবন বাঁচতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার যখন সুজনের সাথে বিয়ে হয় সেবছরের জন্মদিনটা বেশ মজার ছিল। একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বলা যায় নাটক-সিনেমার গল্পের মত। আমরা সেদিন গাড়িতে করে বাইরে থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখন সম্ভবত আমরা তেজগাঁও এলাকার রাস্তায় ছিলাম গাড়িতে। যখন ঠিক ১২টা বাজলো তখন সুজন গাড়ি থামিয়ে গাড়ির পেছনের ডিকি থেকে কেকের প্যাকেট বের করে আমাকে চমকে দিয়েছিল। সে আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিল ১২টার দিকে আমরা যেখানেই থাকবো সেখানেই কেক কাটবো। তাই সেদিন আলো ঝলমলে রাস্তায় কেক কেটে আমাকে খাইয়ে দিয়েছিল। এটাই আমার কাছে এখন পর্যন্ত জন্মদিনের সেরা মূহুর্ত কিংবা সেরা উপহার। ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতি জন্মদিন এলে সেই দিনটার কথা মনে পড়ে। এটা আমার জন্য অন্যরকম একটা ভালো লাগা ও অভিজ্ঞতা ছিল।

দীর্ঘ অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন টিভি পর্দায়। নাটকের পাশাপাশি দেখা মিলেছে বহু বিজ্ঞাপনেও। দুই অঙ্গনেই হয়েছেন অভিনয় গুণে প্রশংসিত। ছোট পর্দায় এতদিনের ক্যারিয়ারে নিজেকে রাঙালেও দেখা যায়নি বড় পর্দায়। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল বছরে বড় পর্দায়ও অভিষেক ঘটে নন্দিত এই তারকার। ‘ভাইজান এলো রে’ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বড় বোনের চরিত্র করে দারুণ প্রশংসিতও হন তিনি।

এখন বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দীপা। স্বামী, সংসার ও সন্তানদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি যতটুকু সময় পান সে সময়টুকু এখন অভিনয়ে দেন। হাতে রয়েছে চারটি ধারাবাহিক ও কিছু একক নাটকের কাজ। শিগগিরই এতে অংশ নেবেন তিনি।

এদিকে বিবাহিত জীবনের ১৩ বছর পার করেছেন শাহেদ আলী ও দীপা খন্দকার দম্পতি। গত ২৭ মে ১৩ বছর পেরিয়েছে এই দুই তারকার যুগল জীবন। একটি নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে সুজনের কণ্ঠে ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’ গানটি শোনেন। সে গান শুনেই সুজনের প্রতি দীপার ভালো লাগা তৈরি হয়। পরবর্তীতে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মধ্যস্থতায় তারা দুজন ২০০৬ সালের ২৭ মে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। দীপা-শাহেদ দুজনই তাদের বিয়ের ঘটক গিয়াসউদ্দিন সেলিমকে ‘উকিল বাবা’র মর্যাদা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন
  • সর্বশেষ
  • পঠিত