ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানে বিধ্বস্ত বিমান নিয়ে যা বলছে আমেরিকা

ইরানে বিধ্বস্ত বিমান নিয়ে যা বলছে আমেরিকা

ইরানের রাজধানী তেহরানে সম্প্রতি ইউক্রেনের যে যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ওই ঘটনায় বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। এবার আমেরিকা একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ধ্বংস হয়েছে ওই বিমান।

এর আগে কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন নেতারাও এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ওই বিমানের দুর্ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও তাদের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।

গত বুধবার ইউক্রেন এয়ার লাইন্সের ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৬ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।।

বৃহস্পতিবার ওই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে কোনও একটা বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যেতে দেখা যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড শব্দে এটি বিষ্ফোরিত হয়।

ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি তেহরান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরই এতে কিছু একটা আঘাত হানে। এতে বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ওই অবস্থায় পাইলট বিমানটিকে আবার তেহরানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই এটি বিষ্ফোরিত হয়ে সব যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।

ওই ভিডিওটি মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এদের মধ্যে ১৬৭ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু ছিলেন।

ইরানের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে এতে মোট ১৮০ আরোহী ছিলেন বলে ইউক্রেন এয়ারলাইন্স দাবি করলেও পরে এর আরোহীর সংখ্যা ১৭৬ বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। নিহতদের মধ্যে কানাডার যাত্রী ছিলো ৬৩জন।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে ইরানের বিমানবন্দর থেকে উড়ছিল বিমানটি। কিছুক্ষণ পরেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে এর সব আরোহী নিহত হন।

মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির বদলা নিতে গত বুধবার ভোরে ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ওই হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর আসে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, সম্ভবত যাত্রীবাহী বিমানটিকে মার্কিন যুদ্ধবিমান ভেবে ভুল করে এতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো ইরান।

কেননা যে সময়টিতে যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলো। তাই আমেরিকার কাছ দিক থেকে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করেছিল ইরান।

আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বলছে, সে সময় স্যাটেলাইটে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের সংকেত পাওয়া গেছে। এরপরই বিস্ফোরণের আরেকটি সংকেত পাওয়া যায়।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিমানটিতে আসলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।

আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে যাত্রীবাহ বিমানটি মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেমানি। এর বদলা নিতে বুধবার ভোরে ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সবমিলিয়ে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরান। আর তারপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা বিমানটি তেহরানের খামেনি বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে সেই বিমানটি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত