ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত মার্কিন ঘাঁটি
মধ্যপ্রাচ্যে জুড়ে আমেরিকার যত সামরিক ঘাঁটি আছে তার সবক’টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। আর ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ট্রাম্প প্রশাসনকে সেই বার্তা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বালবেক শহরে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এ কথা বলেন।
মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য তিনি ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ইসরাইলের জন্যও বার্তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরাইলের বোকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানতে হবে যে, সে ভুল জায়গায় হাত দিয়েছে।’
হাসান নাসরুল্লাহ দাবি করেন, বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো ওই হামলায় পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা এরপর মার্কিন নেতাদের চেহারায় কোনো বিজয়ের ছাপ নেই। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আরবি ভাষার গণমাধ্যমে পারস্য উপসাগর সম্পর্কিত খবর দেখবেন তখন তিনি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেবেন না।’
হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরান যা করেছে তার শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের মুখে একটি চপেটাঘাত, এটি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পুরো প্রতিশোধ নয়। এটি হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ যা চূড়ান্তভাবে পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির অবসান ঘটাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, বিশ্বের যেখানে যে অপরাধ ঘটুক না কেন তাকে ‘মেইড ইন আমেরিকা’বলে আখ্যায়িত করা উচিত। কেননা আজকের বিশ্বে সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল হচ্ছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যে অপরাধযজ্ঞ করে চলেছে তাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতের সবচেয়ে বড় বিজয় এই যে, এর মাধ্যমে আমেরিকার চেহারা সবার কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। জেনারেল সোলেইমানির শাহাদাত অবশ্যই এ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণভাবে বহিষ্কারের পথে আমাদেরকে এগিয়ে নেবে।
নিহত সোলেইমানির প্রশংসা করে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ব্যক্তিগতভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন। তিনি যদি এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই না করতেন তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য সন্ত্রাসীদের পদানত হতো।
এমএ/
