ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পশ্চিমবঙ্গে আবারও বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ

  কলকাতা প্রিতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৩

পশ্চিমবঙ্গে আবারও বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ

দ্বিতীয়বার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ নেতাই ভোটাভুটিতে দিলীপকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জানা যায়, ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএেএস) গুডবুকে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। ফলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষকে ফের বসানোর ক্ষেত্রে আর সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়নি অমিত শাহদের।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এখন পাখির চোখ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট। ক্ষমতায় আসা টার্গেট না হলেও তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমাতে বিজেপি যে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। লোকসভা ভোটেই নিজেদের অস্তিত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর রাজ্যে বিজেপির এই জোয়ার এসেছে দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই।

রাহুল সিনহা সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি চিহ্নিত করা মুশকিল ছিল রাজ্যে। দিলীপ সভাপতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিজেপি সংগঠন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সদস্য সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। দিলীপের সাদামাটা ইমেজই যে তার কারণ সেটা বুঝতে পেরেছে হাইকমান্ড। তাই বিতর্ক তাকে নিয়ে যাই হোক, সংগঠন শক্তিশালী করতে দিলীপকে এই মুহূর্তে সরাতে চাইছেন না অমিত শাহরা।

তবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় থেকে চন্দ্র বসু সকলেই প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। দ্বিতীয়বার দিলীপের সভাপতি পদে নির্বাচনে এক শ্রেণির বিজেপি নেতা কর্মী যে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। নতুন পুরাতনের লড়াই বিজেপির অন্দরে নতুন করে সংঘাত মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয়বার রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ নিশ্চিত হতেই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘প্রথমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বিধায়ক ও সাংসদ হয়েছি। মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেছেন বলেই আজ এই জায়গায়। আমার এই সাফল্যের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ধন্যবাদ জানাই।’

একই সঙ্গে তিনি কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১৮ জন সাংসদ পেয়েছে।

তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ১৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পৌঁছেছে পদ্ম শিবিরের। এজন্য ৯২ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ২ হাজার কর্মী জেলে। ৩ হাজার কর্মী বাড়ি ছাড়া।

তিনি বলেন, ‘আমরা পোস্ট দিই না। ঝান্ডা দিই। পার্টির আদর্শ দেখেই কর্মীরা আসেন।’

এই লড়াইকে মহাভারতের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপ বলেন, সেই যুদ্ধ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গে এসে। এক কোটি সৈনিক লড়াই করছে। মানুষ বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত