ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন দর্পে আঘাত হেনেছে’

‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন দর্পে আঘাত হেনেছে’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি দীর্ঘ ৮ বছর পর শুক্রবার তেহরানে জুমার নামাজের ইমামতি করেন। এসময় তিনি ইরানি বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদায় আঘাত করেছে।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করবে, কিন্তু এসবের মাধ্যমে তারা তাদের হারানো সম্মান ফিরে পাবে না।

এছাড়া তিনি নামাজের আগে দেওয়া খুতবায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।

খামেনি এমন এক সময়ে তেহরানে জুমার নামাজে ইমামতি করলেন যখন ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু চলছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রুহানির পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিচ্ছে। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ইমাম খামেনির প্রতিও তাদের ক্ষোভ গোপন থাকেনি। এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তেহরানের ওপর ক্রমশঃ চাপ বাড়িয়ে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্র কানাডাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। বৃহস্পতিবার কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা এ ঘটনায় ইরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

সেই প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হবার ঘটনাটি ব্যবহার করে ইরানের শত্রুরা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে।

তিনি বলেন, ‘কাসেম সোলেইমানি হত্যার ঘটনায় আমরা যতটা দুঃখিত হয়েছি, বিমান ধ্বংসের ঘটনায় আমাদের শত্রুরা ততটাই খুশি হয়েছে। তারা আমাদের বিপ্লবী গার্ড ও সশস্ত্রবাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটা সুযোগ পেয়ে গেছে।’

হাজার হাজার মানুষের সামনে দেয়া ভাষণে তিনি গুলি করে ইউক্রেনের বিমান ফেলে দেয়াকে একটি ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানি এলিট গার্ড আল কুদসের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি। পরে জানা যায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছিল বিমানটি। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন। নিহতদের প্রায় সবাই ছিলেন ইরান বা ইরানি বঙশোদ্ভূত নাগরিক।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ফাঁস হওয়ার পরই তেহরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এসব ঘটনা প্রেক্ষিতেই আজ শুক্রবার জমার নামাজে ইমামতি করছেন খামেনি।

আরও পড়ুন: ৮ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করলেন খামেনি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত