ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ভারতে দুই সন্তান নীতির উপর জোর দিচ্ছে আরএসএস

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৭

ভারতে দুই সন্তান নীতির উপর জোর দিচ্ছে আরএসএস
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

ভারতের মাটিতে ৩৭০ ধারা বিলোপ ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ করার পর দুই সন্তান নীতির উপর জোর দিচ্ছে দেশটির হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএেএস।

সংগঠনের নেতাদের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তাদের কথা শুনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবার দুই সন্তান নীতি কার্যকর করবে এমনটাই আশাবাদী আরএসএস।

দুই সন্তান নীতি আরএসএসের বহু পুরোনো এজেন্ডা। ভারতের মাটিতে সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হিন্দুদের জন্য বিপদজনক বলেই বরাবর মনে করে সংঘ পরিবার। যদিও প্রকাশ্যে এই তত্বের কথা স্বীকার করেন না সংঘের নেতারা। তবে তারা দাবি করেন, ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। ভারতে সম্পদ সীমিত, অথচ জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই নতুন নীতি।

শনিবার ভারতের মাটিতে ফের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের স্বপক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি দুই সন্তান নীতির পক্ষেই সওয়াল করেন।

দুই সন্তান নীতির প্রসঙ্গ তুলে ভাগবত বলেন, সম্পদের কথা মাথায় রেখেই আমি বলছি ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সমস্যা। এর জন্য নতুন নীতি তৈরি করতে হবে। এই নীতির ফলে ঠিক হবে আপনার ক’টি সন্তান থাকবে।

শনিবার উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে দলের ‘ভবিষ্য কা ভারত’অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মোহন ভাগবত। এর আগে শনিবার মোরাদাবাদ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে একই প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, দেশের ঠিকঠাক উন্নয়ন করতে গেলে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করতে হবে। এনিয়ে কারও বিশ্বাসে আঘাত হানতে চায় না সংঘ পরিবার।

উল্লেখ্য, ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে চালু হয়েছে দুই সন্তান নীতি। আসাম সরকার যে প্রস্তাব পাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, যে সব দম্পতির দুটির বেশি সন্তান থাকবে, তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়। দুয়ের বেশি সন্তান থাকলে পঞ্চায়েতের সদস্য হতে পারবেন না। দুয়ের বেশি সন্তান হওয়ায় ইতিমধ্যেই অনেকে পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খুইয়েছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত