ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ফের বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, পুলিশসহ নিহত ৭

ভয়াবহ বিক্ষোভ: পুলিশসহ নিহত ৭

ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে সোমবার নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাগদাদে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

হাসপাতাল ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স ও আল জাজিরা।

সম্প্রতি নতুন নির্বাচনী আইন নিয়ে গণভোট আয়োজন, একজন স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সোমবার ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রোববার থেকে বাগদাদসহ কয়েকটি শহরের রাস্তায় নেমে আসে ইরাকি তরুণরা।

সড়ক ও সেতু বন্ধ করে দিয়ে সোমবারও বিক্ষোভ করতে থাকে তারা। বিক্ষোভে বাধা দিলে শুরু হয় দু পক্ষের সংঘর্ষ। এতে মোট পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হন। এদের মধ্যে বাগদাদে তিনজন, উত্তরাঞ্চলীয় বাকুবাহতে দুইজন আর দক্ষিণাঞ্চলের কারবালাতে নিহত হয়েছে একজন।

নির্ভযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সোমবার বাগদাদের তায়ারান স্কয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও টিয়ার গ্যাসের আঘাতে গুরুতর আহত হন তিন বিক্ষোভকারী। তাদের বাগদাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

সোমবার বাকুবাহতে দুইজন এবং শিয়া অধ্যুষিত শহর কারবালায় নিহত হয়েছেন আরো এক বিক্ষোভকারী।

গুলি ও টিয়ার গ্যাসের জবাবে পুলিশের ওপর পেট্রোল বোমা ও পাথর ছুড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, বিক্ষোভকারীদের হামলায় বশরা শহরে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অরো ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি জানায়, বশরায় ওই দুই কর্মকর্তাকে বহনকারী একটি গাড়ি বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হলে সেটি ঘিরে ফেলে জনতা। এসময় গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় আতঙ্কিত চালক। তখন বিক্ষোভকারীদের হামলায় মারা যান ওই দুই পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, ঘুষ ও সরকারের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে গত পহেলা অক্টোবর থেকে রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের বিভিন্ন শহরে একটানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষেুব্ধ জনতা। বিক্ষোভে অংশগ্রহণতকারীদের সিংহভাগই বয়সে তরুণ। তাদের তীব্র স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে শহরের আকাশ বাতাশ। এই বিক্ষোভে মাত্র এক মাসে নিহত হয়েছে ২৬০ জনের বেশি মানুষ।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত