ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

১০ শহরে যান চলাচল বন্ধ

চীনে ভাইরাস ঠেকাতে ১০ শহরে যান চলাচল বন্ধ
ছবি-সংগৃহীত

চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন সংক্রামক করোনাভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৮ শতাধিক মানুষ। এর বিস্তার রোধে হুবাই প্রদেশের ১০টি শহর বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার ফলে শহরগুলোতে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও দোকানপাট। ফলে চীনের এসব শহর এখন ‘ভুতুড়ে নগরী’।

এক চীনা পত্রিকার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

চীনের হুবাই ডেইলি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রদেশের চিবি, শিয়ানতাও, শিজিয়াং, কোয়ানজিয়াং, হুয়াংশি ও এনিশি শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের বাস চলাচল বাতিল করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার হুবাই প্রদেশের হুয়াংগ্যাং, শিয়ানতাও ও ইজাউসহ চারটি শহর বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলো চীনা কর্তৃপক্ষ।

পত্রিকাটি বলছে, শিজিয়াং শহরে কেবল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নয়; বন্ধ রয়েছে সকল হাসপাতাল, সুপার মার্কেট, কাঁচাবাজার, গ্যাস স্টেশন ও ওষুধের দোকানগুলোও। আর যানবাহনসহ সব রকমের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এনশি শহরে। অন্যদিকে হুয়াংগিয়াংয়ে যখন সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে তখন ইজৌকতে কেবল রেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

নতুন চিহ্নিত ভাইরাসটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানে। ফলে মারাত্মক ভাইরাস ঠেকাতে প্রথমেই এই শহরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উহানে এক কোটি দশ লাখ মানুষের বাস। এই শহরটি থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশের বড় বড় শহরে বিমান চলাচল করে। ফলে এখান থেকে ভাইরাসটি বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে আশঙ্কা করা হচ্ছে আর একারণেই এই শহরটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

যানবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে চীনের ওই ১০টি শহর দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই শহরগুলো থেকে দেশের অন্যত্র কোনো বাস-ট্রেন,ফেরি ও বিমান চলাচল করছে না। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শহরগুলোর কোটি কোটি মানুষ।

প্রসঙ্গত, নতুন চিহ্নিত করোনাভাইরাসটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোন চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। তাই এটি প্রতিরোধের ওপরেই সর্বাত্মক জোর দেয়া হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ ভাইরাসের সঙ্গে ২০০২-০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়া সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের সংযোগ থাকতে পারে। ওই সময় সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে প্রায় ৬৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত