ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

শক্তিশালী এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা ভারতের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫০

শক্তিশালী এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা ভারতের

শক্তিশালী এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ডিআরডিএ। যার পাল্লা হবে ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ এর সমান। অর্থাৎ ৫০০০ কিলোমিটার।

ডিআরডিএ-র এক কর্মকর্তা জানান, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে কে-সিরিজের লেবেলই থাকবে। গোটা এশিয়া ছাড়াও আফ্রিকার একাংশ, ইউরোপ ও দক্ষিণ চীন সমুদ্র সহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এর আওতায় চলে আসবে।

একসপ্তাহের মধ্যে দু-বার ৩৫০০ কিমি পাল্লার কে-৪ মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে, ডিআরডিএ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে। তিনি জানান, পরমাণু সাবমেরিন আইএনএস আরিহন্ত থেকে ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

২০১৪ সালে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হলেও, সে বার কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তার পাল্লার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেনি। ৩০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছিল কে-৪। দ্বিতীয়বার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ কিন্তু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছিল। অর্থাৎ সমুদ্রের তলা থেকে উঠে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে কে-৪।

শব্দের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি বেগে ছুটতে সক্ষম পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এসএলবিএম। ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন দেশের হাতে যে সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ভারতের এই কে-৪। নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করা হবে।

এই মিসাইলটি ৩ মিটার লম্বা। বর্তমানে অরিহন্তে ৭৫০ কিলোমিটার পাল্লার বি-০৫ নিউক্লিয়ার মিসাইল রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত