ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইইউ-তে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ, বিপাকে ভারত

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০৫  
আপডেট :
 ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:১০

ইইউ-তে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ, বিপাকে ভারত

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে এ বার প্রস্তাব পাশ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে পাশ হয়েছে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে এই তথ্য পাওযা গেছে।

এসময় কাশ্মীরে সরকার এবং প্রশাসনের কার্যকলাপ নিয়েও ইইউ-তে রীতিমতো সমালোচিত হয় ভারত। তবে পাল্টা জবাব দিয়ে ভারত সরকার জানিয়েছে, গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি আইন পাশ হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭৫১ জনের মধ্যে ৬০০ জনেরও বেশি সদস্য এ দিন ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ এবং কাশ্মীরে প্রশাসনের আচরণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে।

সেখানে বলা হয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ধর্মীয় বিভেদের কথা বলা হয়েছে। ইইউ যার তীব্র নিন্দা করে এবং এর বিরোধিতা করে। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই আইন পাশ হওয়ার পরে দেশের ভিতরে অরাজক অবস্থা তৈরি হয়েছে। যা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। এমনকি এই কথাও বলা হয়েছে, ভারতের এই আইন গোটা বিশ্বে সব চেয়ে বড় 'রাষ্ট্রহীনতার' পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যা উদ্বেগের এবং আশঙ্কার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরেই ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়েছে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে পাশ করার একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে। সংসদের দুই কক্ষে বিতর্কের পরে ভোটাভুটির মাধ্যমে আইনটি পাশ হয়েছে। আইনটি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। একই সঙ্গে সিএএ-র পক্ষেও সওয়াল করেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, সিএএ কখনওই বিভেদকামী আইন নয়। প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার কথাই কেবল বলা হয়েছে সেখানে।

এ দিন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্কে প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন সংসদের ৬টি দল। বাম, উদারপন্থী, গ্রিন পার্টি, গণতান্ত্রিক খ্রিস্টান দল-- সকলেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রস্তাব পাশ হওয়ার আগে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও এ দিন বলেছে দলগুলি। যা নিয়ে ভবিষ্যতে পার্লামেন্টে বিতর্কের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার কিছু দিন পরেই ইইউ-এর দক্ষিণপন্থী দলগুলির কয়েকজন সদস্যকে কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছিল ভারত সরকার। পরে সপ্তাহকয়েক আগে ফের ইইউ সহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে কাশ্মীরে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ভারত। অন্য দেশগুলি রাজি হলেও ইইউ আপত্তি জানায়।

বস্তুত, ইইউ সদস্যরা কাশ্মীর যেতে রাজি না হওয়ার পরেই দেশের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, আগামী দিনে ভারত চাপের মুখে পড়তে পারে। এরই মধ্যে আগামী মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রাসেলস যাওয়ার কথা। ইইউ-এর এই প্রস্তাবের পর মোদীর সফর সূচিতে কোনও পরিবর্তন হয় কি না, সে জল্পনাও শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত