ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে জ্বর-কাশিতে মৃতের সংখ্যা ১৪০০০

  জহার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৪

যুক্তরাষ্ট্রে জ্বর-কাশিতে মৃতের সংখ্যা ১৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে চলতি মৌসুমে জ্বর-কাশিতে ১৪০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শীতে আরও এক দফা ফ্লু বা জ্বর-কাশির মৌসুম মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এই বছর ফ্লুর লক্ষণগুলির সঙ্গে করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলির মিল থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তথ্য অনুসারে ডিসেম্বরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-এর ধরণের ফ্লু বা জ্বরে ভুগেছে অনেকে।তবে এখন কিছুটা কমেছে।

স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা করোনাভাইরাসের যে কোনও সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের জন্য পরিকল্পনা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিত্সকরা রোগীদের ফ্লু মোকাবেলা করতে প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিডিসির অনুমান মতে চলতি মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের ২কোটি ৬০ লক্ষ নাগরিক ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ১৪,০০০ মানুষ মারা গেছে

তবে সিডিসি জানায়, জানুয়ারি শেষের দিকে ফ্লুর দ্বিতীয় দফা শুরু হয়েছে যা বলা হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা- এ এবং এই ইনফ্লুয়েঞ্জা- এর সঙ্গে মিল রয়েছে সোয়াইন ফ্লুর। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর প্রথম আবির্ভাব ঘটে।

এই ফ্লু দেশে যেন ছড়িয়ে না পড়ে শে লক্ষ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ঘোষণা করেছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে করোনাভাইরাসের জন্য ফ্লু জাতীয় লক্ষণযুক্ত কিছু রোগীর পরীক্ষা শুরু করবেন।

প্রাথমিকভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, শিকাগো এবং নিউইয়র্কের জনস্বাস্থ্য ল্যাবগুলি দ্বারা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ল্যাবগুলো ইতিমধ্যে মৌসুমী ফ্লুর জন্য মানুষের রক্ত পরীক্ষা করছে।

জাতীয় টিকা এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কেন্দ্রের পরিচালক ন্যানসি মেসননিয়ার শুক্রবার টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন ল্যাবগুলি যে রোগীদের মাঝে ফ্লু জাতীয় শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি দেখা দিচ্ছে এমন রোগীদের উপর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করবে।

বিজ্ঞানীরা যদিও কয়েক দশক ধরে ফ্লু নিয়ে গবেষণা করছেন, তবে এই করোনভাইরাস সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে, কারণ এই ডাভিড সিভিড -১৯ একেবারেই নতুন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এখনও নতুন ভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত লক্ষণগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন, পাশাপাশি এটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং কতগুলি ক্ষেত্রে গুরুতর হয় তাও বোঝার চেষ্টা করছেন

জাতীয় টিকা এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কেন্দ্রের পরিচালক ন্যানসি মেসননিয়ার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ হলে সিডিসি "সামাজিক দূরত্ব" কৌশলগুলির প্রতি আহ্বান জানাবে। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ, তেলিফনের মাধ্যমে অফিসের কাজ করা এ ধরণের কৌশলগুলো অবলম্বন করতে হবে এবং জনসমাবেশ বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত