ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মোবাইল নিষিদ্ধ-ইন্টারনেট বন্ধ, তারপরও প্রশ্ন ফাঁস

মোবাইল নিষিদ্ধ-ইন্টারনেট বন্ধ, তারপরও প্রশ্ন ফাঁস

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রুখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তারা পরীক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল নিষিদ্ধ এবং ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছিল। তা সত্ত্বেও পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে পারেনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রের দু’টি পাতা বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানাচ্ছে, বাগডোগরা পরীক্ষা কেন্দ্রের শুভমায়া এসএন হাইস্কুলে বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ দিনের পরীক্ষা বাতিল হয় ১৮ জনের।

গত বছর শুধু শেষ দিনের পরীক্ষা ছাড়া প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে গিয়েছিল। শেষ দিনের পরীক্ষার আগে কিছু জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।

এবার প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, বীরভূমের মতো কিছু জেলার ৪৩টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, শুধু পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদেরও মোবাইল ও স্মার্ট ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষা হলে ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়।

এত পদক্ষেপের পরেও প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যায়নি। অভিযোগ, বাংলা পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার কিছু পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নের চার ও পাঁচ নম্বর পাতা বেরিয়ে যায়। কলকাতা-সহ কিছু জেলায় পাতা দু’টি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরীক্ষার শেষে সেগুলির সঙ্গে মূল প্রশ্নের চার ও পাঁচ নম্বর পাতা মিলিয়ে দেখা যায়, হুবহু মিল! কোথাও কোথাও অভিযোগ ওঠে, বাংলার পুরো প্রশ্নপত্রই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারের বদনাম করতে এসব করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত