ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

অমানবিক ট্রাম্প!

অমানবিক ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ঐতিহাসিক ভারত সফরের সময়ই দিল্লি সহিংসতার সূচনা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লি যখন পুড়তে শুরু করেছে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর ট্রাম্প ব্যস্ত ছিলেন বৈঠকে, নিজেদের নানা দেন দরবার নিয়ে। ফলে ট্রাম্প ভারতে অবস্থান করার সময়ই জ্বলে ওঠে দিল্লি, প্রাথমিকভাবে তখন সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে এই সংখ্যা বেড়ে ৩৪য়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ শতাধিক মানুষ।

তবে এই সংঘর্ষ নিয়ে মোদি সরকারের কোনও সমালোচনা করেননি ট্রাম্প। এমনকি তিনি এ নিয়ে মোদির সঙ্গে কোনও বাড়তি শব্দ বিনিময় করতেও রাজি হননি। বরং তিনি এ ঘটনাকে ‘ভারতের আভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলে দায় এড়িয়ে গেছেন।

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দিল্লির সহিংসতাকে ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি দিল্লি সংঘাতের কথা শুনেছি। তবে এ নিয়ে আমি তার (মোদির) সঙ্গে কোনও আলোচনা করিনি। এটা সম্পূর্ণ ভারতের বিষয় এবং তারাই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে।’ এসময় তিনি ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির চেষ্টারও প্রশংসা করেন।

কিন্তু দায়সারা গোছের বিবৃতি দিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স তাকে একজন ‘ব্যর্থ নেতা’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

বুধবার এক টুইটারে স্যান্ডার্স বলেন, ‘ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা ২০ কোটির ওপর। সেখানে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় কমপক্ষে ২৭ জন (বেড়ে ৩৪ জন) নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। আর ট্রাম্প কিনা এ ঘটনাকে ‘ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলছেন। মানবাধিকার ইস্যুতে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি একজন ব্যর্থ নেতা।’

এর আগে দিল্লির সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার। তিনি সাবেক সিনেট সদস্য জন কর্নিয়ানের সঙ্গে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সহিংসতায় আমরা শঙ্কিত। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা খোলামেলা সংলাপ বিনিময়ের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।’

সহিংসতার ভয়াবহতার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য জেমি রাসকিন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘উদার গণতন্ত্রে অবশ্যই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বহুত্ববাদকে সুরক্ষা দিতে হবে। একই সঙ্গে বর্জন করতে হবে বৈষম্য এবং গোঁড়ামির পথ।’

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত