ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘দিল্লি দাঙ্গার জন্য মোদি দায়ী’

‘দিল্লি দাঙ্গার জন্য মোদি দায়ী’

দিল্লিতে গত ৩ দিনের ভয়াবহ সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪২ জন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য ইতিমধ্যে শ পাঁচেক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই দাঙ্গায় ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কি এক রহস্যজনক কারণে যেন দাঙ্গার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিলো দিল্লি পুলিশ। এক রিপোর্টে দেখা যায় রোববার দিল্লিতে যখন সহিংসতার আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তখন প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশগ্রহণ করছিলো দিল্লি পুলিশ। শুধু পুলিশ নয়, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এড়াতে পারছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দিল্লির ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত দাঙ্গা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে দিল্লি দাঙ্গার অনেক মিল আছে। ওই সময় গুজরাটে ক্ষমতায় ছিলেন মোদি ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখনও কয়েক দিন ধরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা করে গেছে চরমপন্থী হিন্দুরা। তখরও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছ পুলিশ ও প্রশাসন। ওই দাঙ্গায় ১ হাজারের বেশি মুসলমান নিহত হয়েছিলো। তাই এবারের দিল্লি দাঙ্গার জন্যও নরেন্দ্র মোদিকেই দুষছেন সবাই।

আর এবারও রহস্যজনক কারণে নীরব ছিলেন মোদি। আসলে তিনি ব্যস্ত ছিলেন ভারত সফরে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেহমানদারি নিয়ে। দিল্লি যখন পুড়ে ছাই হচ্ছে তখনও তিনি এ নিয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করেননি। দিল্লি নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন সহিংসতার দীর্ঘ তিন দিন পর গত বুধবার। যা নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর প্রশ্ন করেছেন, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন মোদি?’

ডয়েচে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠকরাও একই অভিযোগ করেছেন। তাদের সাফ কথা- দিল্লির দাঙ্গার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার দায়ী। একজন বা দুজন নয়, এই বেশিরভাগ পাঠকই এই ধরনের মন্তব্য রেখেছেন।

পাঠক মাহফুজুল হক লিখেছেন, ‘অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও দিল্লি প্রদেশের বিজেপি দায়ী৷’

পাঠক মোবারক হোসেন, মোশারফ হোসেন, খোরশেদ খান, রাসেল সরদার, আবদুল্লাহ আল খায়ের, মোহাম্মদ মিন্টু, আমিনুল ইসলাম, সাদাকাত খান, শামসুল হুদারও আলাউদ্দিনেরও একই মত। পাঠক লতিফুলও বলছেন, দিল্লি দাঙ্গার জন্য সম্পূর্ণরূপেই মোদি এবং তার দল বিজিপি দায়ী।

অন্যদিকে মাসুম চৌধুরী নামে আরেকজন বলেন, দিল্লির ঘটনায় ভারত আজ হোক কাল হোক টুকরো টুকরো হবেই হবে। আর পাঠক মোহাম্মদ হাসু তো এ ব্যাপারে সবাইকে মোদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আর পাঠক কাওসার বলছেন, ‘ভারত দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল। এটাই হলো আঞ্চলিক সংঘাতময় রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের মূল কথা।’

একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মোদির আগমন আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আগমনের মধ্যে কোনো ফারাক নেই।’

আর পাঠক রাজু বেশির ভাগ পাঠকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ হচ্ছেন দিল্লির দাঙ্গার আসল কালপ্রিট।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত