ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মোদির সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না!

মোদির সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না!

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরের সময় মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার কথা রয়েছে।

এ নিয়ে শনিবার ‘ঢাকায় মোদির ‘সফল’সফর চাইছে নয়াদিল্লি’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানকার শীর্ষস্থানীয় বাংলা সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির সফরে তিস্তাকে বাদ দিয়ে অন্য কয়েকটি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি হতে পারে।

অথচ মোদির সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে ঢাকা সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, এই বছরই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদি। তার আগের সফরে দু’দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। তবে এ বারের সফরে এই মাপের কোনও চুক্তি হবে না বলে জানাচ্ছে আনন্দবাজার। তবে চুক্তি না হলেও নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং সাম্প্রতিক দিল্লি সহিংসতার জেরে দু দেশের ‘সম্পর্কে যে মেঘ জমেছে সেই মেঘ কাটিয়ে মোদির বাংলাদেশ সফরকে সফল হিসেবে তুলে ধরতে সক্রিয় সাউথ ব্লক’। এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনও ঘোষণা করতে পারেন মোদি।

এরপরই ভারতের ওই বাংলা পত্রিকাটি জানায়, ‘তিস্তাকে বাদ রেখে অন্য কয়েকটি নদীর জলের ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা হতে পারে বলে সম্প্রতি ঢাকা সফরে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।’ অর্থাৎ এই সফরে তিস্তা নিয়ে চুক্তি তো দূরে থাক কোনও আলোচনাও হচ্ছে না।

কিন্তু গত সোমবার (২ মার্চ) ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ: ভারত: একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভবিষ্যৎ’-শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সেখানে তিনি চলতি বছরের মধ্যেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

সেমিনারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা বলেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দুই দেশেরই আগ্রহ রয়েছে। এটা নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ চলছে। এই বছরের মধ্যেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

চলতি বছরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা: শ্রিংলা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের এক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার আরও জানায়, ‘মোদির আসন্ন সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে চলেছে দু’দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগের নতুন দিক খোঁজা। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নদীপথে যাতায়াত বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণা হতে পারে। বাংলাদেশের বন্দরগুলিকে ব্যবহার করে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে এলপিজি গ্যাস পাঠানোর নতুন উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত