ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতে করোনায় আক্রান্ত ৪০০

লকডাউন না মানলে কড়া ব্যবস্থা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২০, ১৬:১৪

লকডাউন না মানলে কড়া ব্যবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি অমান্য করে যারা রাস্তায় নামবেন, বা এদিক-ওদিক জমায়েত করবেন তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভারত প্রশাসন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে- গত কয়েকদিনের মধ্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত করোনাভাইরাসে।

অনেকেই বলছেন, দেশের মানুষ সচেতন না হলে এই সংক্রমণ আরও ছড়াবে। ইতিমধ্যেই দেশের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সকলকে লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিকর তথ্য যেভাবে ছড়ায়

এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার টুইট করেছেন তিনি। সেখানে মোদি লিখেছেন, ‘অনেক মানুষ এখনও লকডাউনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন না। দয়া করে নিজেকে বাঁচান, আপনার পরিবারকে বাঁচান, এই নির্দেশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করুন। আমি রাজ্য সরকারগুলোকেও অনুরোধ করছি যাতে সব রাজ্যগুলোতেই এই সব নির্দেশিকা মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশের পরেই একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যারা এই লকডাউন মানবেন না সেই লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: ফোন নিরাপদ করার উপায়

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, পশ্চিমবঙ্গ, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পুদুচেরি এবং উত্তরাখণ্ডে চলবে না কোনও ট্রেন, চলবে না মেট্রোও।

পাশাপাশি বন্ধ থাকবে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবাও। শপিং মল, সিনেমা হল, স্কুল, কলেজ এবং জিমও বন্ধ বিভিন্ন রাজ্যে।

সোমবার বিকেল ৫টা থেকে লকডাউন শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ থাকবে সব। শুধু মিলবে জরুরি এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা। এ রাজ্যে এই লকডাউন চলবে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত, জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরো পড়ুন: আইসোলেশন কোয়ারেন্টাইন কী, কখন দরকার?

এদিকে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে দেশের ল্যাবরেটরিগুলোতে ক্রমশই বাড়ছে চাপ। অনেকেই চাইছেন সতর্কতা স্বরূপ কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত পরীক্ষাটি করিয়ে নিতে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় দেশে এই ধরণের পরীক্ষা করার মতো কেন্দ্র অনেকটাই কম। তাই এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাই নয়, অনেক প্রাইভেট ল্যাবরেটরিগুলিকেও এই ধরণের পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। কোনোভাবে ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত