হ্যারি-মেগানের কাছে খরচ চাইলেন ট্রাম্প
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার খবর প্রকাশের পর তাদের কাছে টাকা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন, তাদের নিরাপত্তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র একটি পয়সাও খরচ করবে না। তাদের নিরাপত্তার খরচ তাদেরই বহন করতে হবে।
এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প নিজেকে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজোবেথ ও যুক্তরাজ্যের একজন ভালো বন্ধু ও ভক্ত হিসাবে দাবি করে বলেন, হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানকে অবশ্যই নিরাপত্তা খরচ দিতে হবে।
জবাবে এই যুগল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচে নিরাপত্তা নেয়ার কোনওে ইচ্ছা তাদের নেই।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা কানাডা থেকে মেগানের বাড়ি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে এসেছেন।
রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসাবে তারা ৩১শে মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াবেন এবং রানীর পক্ষে আর কোন দায়িত্ব পালন করবেন না। তবে একবছর পরে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে।
রোববার এই দম্পতির পক্ষে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই ডিউক এবং ডাচেসের। ব্যক্তিগত অর্থে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপে ৬ মাস ক্রিসমাস অবসর কাটানোর পর এই দম্পতি এবং তাদের পুত্র আর্চি বছরের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন কানাডার ওয়েস্ট কোস্টে।
গতমাসে কানাডার সরকার ঘোষণা করে, তাদের 'স্ট্যাটাস' পরিবর্তনের কারণে তারা নিরাপত্তা সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই রকম ব্যবস্থা নিলেন।
গত সপ্তাহে এই যুগল লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসেন যেখানে মেগান তার মা ডোরিয়া র্যাগল্যান্ডের কাছে বড় হয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বর্তমানে দেশটিতে এক লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। দেশটিতে মারা গেছেন আরও ২৪৮৫ জন।
এ মাসের শুরুর দিকে প্রিন্স হ্যারির পিতা, প্রিন্স অব ওয়েলস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে বাকিংহ্যাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেসনে দিন কাটাচ্ছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ/
