ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

হজের যাওয়ার জমানো টাকা দিয়ে একি করলেন বৃদ্ধা!

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২০, ১২:১৯  
আপডেট :
 ০১ এপ্রিল ২০২০, ১২:৩১

কাশ্মীরের মুসলিম নারীর অনন্য দান

অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখে গোটা ভারত। গত আগস্টে ওই রাজ্যের ওপর থেকে বিশেষ মযাদাসম্পন্ন ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পর গোটা দেশে নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কাশ্মীরি মুসলিমরা। ভারত সরকারের দৃষ্টিতে কাশ্মীরের মানুষ মানেই জঙ্গি বা বিদ্রোহী। অথচ সেই রাজ্যের এক বৃদ্ধা এমন এক কাজ করেছেন যা নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে আলোচনা।

হজে যাওয়ার জন্য একটু একটু করে অর্থ জমিয়েছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দা ৮৭ বছরের ওই বৃদ্ধা। এবার সেই অর্থ তিনি করোনা মোকাবেলার জন্য তুলে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের (আরএসএস) তহবিলে।

ওই দানশীলা বৃদ্ধা অধুনা লুপ্ত জনসংঘের প্রয়াত নেতা পীর মহম্মদ খানের নাতনি খালিদা বেগম। ছোট থেকেই কনভেন্ট স্কুলে পড়াশুনা করেছেন তিনি। ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে আরএসএসের সংগঠন সেবা ভারতী। করোনা মোকাবেলায় দেশজুড়ে লক ডাউনের মধ্যে সেবা ভারতীর কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে খালিদা বেগম এই সিদ্ধান্ত নেন।

শেষ জীবনে এসে খালিদা বেগম পবিত্র মক্কা নগরীতে হজে যাওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ রুপি জমিয়ে রেখেছিলেন। কিন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিজের সেই ইচ্ছা বিসর্জন দিলেন ওই নারী।

এদিকে ভারতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা। জম্মু-কাশ্মীরে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত ব্যাক্তদের সংস্পর্শে আসা বহু ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, খালিদা বেগমের পুত্র ফারুখ খান ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন।

এই ঘটনায় খালিদা বেগমে কুর্নিশ জানিয়েছে আরএসএস। আরএসএস জানিয়েছে, সেবা ভারতীর সমাজসেবা মূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে খালিদা বেগম করোনা মোকাবেলার জন্য পাঁচ লক্ষ রুপি দান করেছেন।তিনি গরীব কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। তার ইচ্ছার যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, করোনার আতংকের এই অসময়ে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি বৃদ্ধা খালিদা বেগম।

তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি দরকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো। হজ যাত্রার চেয়ে এই মুহূর্তে গরীব কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তিনি বেশি আনন্দ বোধ করছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত