ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শোকে স্তব্ধ চীন, আতঙ্কে কাঁপছে ট্রাম্পের দেশ

শোকে স্তব্ধ চীন, আতঙ্কে কাঁপছে ট্রাম্পের দেশ
চীনে শনিবার পলিত হয় জাতীয় শোক দিবস

চীনের উহান নগরী থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামারি। তবে তিন মাস ক্রমাগত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বেইজিং। এখন সে দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুর সংখ্যা খুবই নগণ্য।

এশিয়ার এই দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন চিকিৎসাকর্মীসহ তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। শনিবার সেই মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশে জাতীয় শোকদিবস পালন করেছে চীন। এসময় ৩ মিনিট নীরবতা পালন করে গোটা জাতি, স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এক সঙ্গে বেজে ওঠে গাড়ি, ট্রেন, জাহাজের হর্ন। আর সারাদিন অর্ধনমিত ছিল জাতীয় পতাকা। সেদিন দেশজুড়ে বন্ধ ছিল সব ধরনের বিনোদন কর্মকাণ্ড।

শনিবার করোনায় মৃত ওই ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ‘শহিদ’হিসাবে ঘোষণা করেছে বেইজিং। এদের মধ্যে রয়েছেন সেই চিকিৎসকও, যিনি প্রথম করোনাভাইরাসটিকে চিহ্নিত করে বিপদবার্তা দিয়েছিলেন বিশ্বকে। তার জন্যে চীন সরকারের শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। পরে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যান মধ্য তিরিশের এই যুবকটি।

তবে চীন স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরলেও করোনা বিরোধী লড়াইয়ে লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্ব। ‘মানুষ বনাম ভাইরাস’যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল এখন বিশ্বের প্রবল পরাক্রমশালী আমেরিকা।

ইতিমধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। সেখানে শনিবার গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ১৩৩১ জন। এর আগের দিন অর্তাৎ শুক্রবার করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন দেড় হাজার মার্কিন নাগরিক।

গোটা বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ লাখের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৬৪ হাজারের উপর। সব চেয়ে বেশি মৃত্যু ইটালিতে। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ (১৫৩৬২ জন)।

দ্বিতীয় স্থানে ইউরোপের আর এক দেশ স্পেন। সেখানে মারা গেছেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ, অর্থাৎ ১১,৯৪৭ জন।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যে গতিতে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে তারা সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এই মুহূর্তে দেশটির ৩ লাখের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হওয়া কমারও কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ট্রাম্প সরকার শুক্রবার থেকে ঘোষণা করছে, ‘অবশ্যই মাস্ক পরুন। না থাকলে মুখে স্কার্ফ জড়ান।’

যুক্তরাষ্ট্রের‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর প্রধান ড. অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, ‘সম্প্রতি যা তথ্য এসেছে আমাদের হাতে, তাতে শোনা যাচ্ছে হাঁচি-কাশিও নয়, কথা বললেই ভাইরাস ছড়াতে পারে।’

এর আগে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ১ থেকে ২ লাখ মানুষ মারা যাবে এবং আক্রান্ত হবে আরও ১০ লাখের বেশি মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্র যেন মৃত্যুপুরী

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত