করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়ালো
কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না করোনা মহমারিকে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। আজ সোমবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে আরও ১২ হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছে সাড়ে ৩শ জন।
সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯ লাখ মানুষ
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ৩০ লাখ ৬ হাজার ১১৩ জন। এদের মধ্যে রোববার গত ২৪ ঘণ্টাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৮৫ জন।
পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রোববার একদিনেই মারা গেছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ। ফলে বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জন।
তবে শত হতাশার মধ্যেও আশার কথা এই যে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯ লাখ মানুষ, ৮ লাখ ৮৩ হাজার ২১৬ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের এক চতুর্থাংশের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৩২ জন। এদের মধ্যে ৫৭ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় এখনও তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই সেখানে নতুন নতুন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে রোববার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৬ হাজারের বেশি মানুষ, ২৬ হাজার ৫০৯ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখ। অর্থাৎ ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২ জন।
দেশটিতে রোববার গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত আরও ১ হাজার ১৫৭ জন। ফলে সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৪১৫ জন। এদের মধ্যে সোমবার সকালেই মারা গেছেন আরও দুইজন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৩ জন। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৮ লাখের বেশি মানুষ। অর্থাৎ ৮ লাখ ১৩ হাজার ১২৬ জন। এদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে বলা যায়। দিন কয়েক আগেও দেশটিতে ৩০/৪০ হাজারের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতো। আর মারাও যেত হাজার হাজার মানুষ।
এর আগে দেশটিতে গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছিল ২ হাজারের মতো মানুষ। ওইদিন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আরও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ( ৩৮ হাজার ৭৬৪ জন)।
স্পেনে একদিনে আক্রান্ত ২ হাজারের বেশি মানুষ
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন স্পেনের মানুষ। রোববার গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে আরও প্রায় ৩ হাজার মানুষ। অর্থাৎ ২ হাজার ৮৭০ জন। হাজার ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৬২৯ জন।
তবে স্পেনে করোনায় মৃত্যুর হার বেশ কমেছে। রোববার দেশটিতে মারা গেছে মাত্র ২৮৮ জন। ফলে সেখানে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৯০ জনে।
দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮১ জন। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৭৬৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
অন্যান্য দেশের করোনা পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৬ হাজার ৬৪৪ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ২ লাখের দিকে ছুটছে ইতালিও।
ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ১০০ জন এবং মারা গেছে ২২ হাজার ৮৫৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭০ জন। আক্রান্তের তুলনায় দেশটিতে মৃত্যু অনেক কম, মাত্র ৫ হাজার ৯৭৬ জন।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৭৩২ জনের।
তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩০ জন এবং দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৮০৫ জন। ইরানে আক্রান্ত ৯০ হাজার ৪৮১ জন এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৭১০ জন।
করোনার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিচিত চীনে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮২ হাজার ৮৩০ জন। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
এছাড়া রাশিয়াতে আক্রান্ত ৮৭ হাজার ১৪৭ জন ও মৃত্যু ৭৯৪; ব্রাজিলে আক্রান্ত ৬৩ হাজার ১০০ জন, মৃত্যু ৪ হাজার ২৮৬ জন; বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৬৮৭ জন ও মৃত্যু ৭ হাজার ২০৭ জন।
বাংলাদেশেও সোমবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছে মোট ১৫২ জন।
সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার
এমএ/