লকডাউনে উধাও গর্ভনিরোধক, বাড়ছে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্ব
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২০, ১৮:০১
বিশ্ব জুড়ে লকডাউনে অত্যাধুনিক মানের গর্ভনিরোধক (‘কন্ট্রাসেপ্টিভ’) বাজারে না পওয়ায় ফলে বাড়ছে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্ব। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পপুলেশান ফান্ড (‘ইউএনএফপিএ’) ও তার সহযোগী সংস্থাগুলির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য ওঠে এসেছে। সমীক্ষাটি চালাতে ইউএনএফপিএ-কে সহযোগিতা করেছে আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাভেনির হেল্থ এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
বাজারে গর্ভনিরোধক না পাওয়ার ফলে, অল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলির অন্তত ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মহিলা ওই সব অত্যাধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে পারছেন না। যার পরিণতিতে আর কয়েক মাসের মধ্যে ওই দেশগুলিতে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে হবে আরও অন্তত ৭০ লক্ষ মহিলাকে।
লকডাউনের সময় এই সমস্যার ফলে অল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলির মহিলারা যেমন পরিবার কল্যাণ কর্মসূচিতে অংশ না নিতে পেরে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে চলেছেন, তেমনই ওই সব দেশে হিংসার ঘটনাও বহু গুণ বাড়তে চলেছে।
লকডাউন মহিলাদের ‘জেনিটাল মিউটিলেশন’ (অর্থাৎ, অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনও কারণে মহিলাদের যৌনাঙ্গের হানি) ও বাল্যবিবাহ রোখার কাজের গতিও অনেকটাই কমিয়ে দেবে। তার ফলে, আগামী দশকে আরও অন্তত ২০ লক্ষ মহিলার যৌনাঙ্গের হানির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ১০ বছরে বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়বে আরও অন্তত ১ কোটি ৩০ লক্ষ।
সমীক্ষায় উল্লেখ আছে, লকডাউনের আগে পর্যন্ত বিশ্বের অল্প ও মধ্য আয়ের ১১৪টি দেশের প্রায় ৪৫ কোটি মহিলা নিয়মিত ভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতেন।
মঙ্গলবার ইউএনএফপিএ-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর নাটালিয়া কানেম বলেন, সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে করেনা সংক্রমণের ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে মহিলা ও তরুণীদের উপর। এই অতিমারি লিঙ্গবৈষম্য আরও বাড়াচ্ছে। মহিলারা তাঁদের নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছেন।
কামেনের মতে, ‘মহিলাদের প্রজননক্ষমতা ও অধিকারকে যে কোনও ভাবেই রক্ষা করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রাখতে হবে। সরবরাহ ব্যবস্থাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম
