ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

রমজানে ঘরে বসেই মিলবে সুস্বাদু হালিমের স্বাদ

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ১২:২১  
আপডেট :
 ১৭ মে ২০২০, ১২:২৭

রমজানে ঘরে বসেই মিলবে সুস্বাদু হালিমের স্বাদ

রমজান মাসে কলকাতায় লকডাউনে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে মুখরোচক হালিমের স্বাদ। কলকাতা শহরের নিউমার্কেট, জাকারিয়া স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস কিংবা খিদিরপুর এলাকায় রমজানের সময় প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ভীড় জমান।

রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সারাদিন রোজা থাকার পর মাগরিবের সময় আজান দিলে শুরু করেন ইফতার। ফল, তেলেভাজার পাশাপাশি ইফতারের তালিকায় থাকে সুস্বাদু হালিম।

কলকাতায় নানা ধরনের হালিম পাওয়া যায়। যেমন, হায়দারাবাদি হালিম, শাহী হালিম, মটন বা চিকেন হালিম। মুসলিমদের পাশাপাশি বহু হিন্দুরাও এই সময় হালিমের স্বাদ পেতে মুখিয়ে থাকেন। কিন্ত করোনা এবং লকডাউনের আবহে রমজানে কলকাতার মানুষ সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

লকডাউনের কারনে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত খাবারের দোকান, হোটেল রেস্তোরা এখন বন্ধ। কিন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে সম্প্রতি লকডাউন কিছুটা শিথিল করায় এবার হালিমের স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ এসেছে। তবে দোকানে বা রেস্তোরায় বসে এখনই হালিম খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কলকাতার বহু নামকরা দোকান বা রেস্তোরা তাই ঠিক করেছে তাদের বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন হালিম।

কলকাতায় এমন অনেকে আছেন যারা কেবলমাত্র হালিমের লোভে কয়েক কিলোমিটার দূরে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে ভিড় জমান। মূলত কলকাতার বুকে বছরের দুটি সময় রমজান এবং মহরমে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ব্যাপকহারে হালিম বিক্রি হয়। কিন্ত লকডাউনের কারনে সেইসব হালিমপ্রেমীরা আজ হতাশ। শুধু তাই নয়, লকডাউন প্রভাব ফেলেছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। কারণ, বহু মানুষ এই সময় বাড়তি রোজগারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ফলে লকডাউনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বহু খাবারের দোকানদার এবং ব্যাবসায়ীরাও।

মটন ও চিকেন দিয়ে নানা পদের খাবার তৈরিতে জনপ্রিয় কলকাতার বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ হালিম তৈরি করা শুরু করেছে। কলকাতার নামি দামী হোটেল এবং রেস্তোরার তরফে জানানো হয়েছে, ‘এখন আমাদের রেঁস্তোরা বন্ধ। আমরা ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে হালিম বিক্রি করছি। অর্ডার দিলে পার্সেল করে বাড়িতে হালিম পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

কাউকে রেঁস্তোরার ভিতরে বসে হালিম খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত হালিমের অর্ডার নেয়া হয়।

গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবথেকে বড়ো ও দীর্ঘতর ধর্মীয় পরব মাহে রমজান। চলবে টানা একমাস। কিন্ত চলতি বছরে করোনা সংকট মোকাবিলায় লকডাউনের কারনে ইফতার পার্টি, তারাবিহ নামাজ এবং ঈদ কেনাকাটায় পরিবর্তন এসেছে। জমায়েত এড়াতে মসজিদে বা খোলা জায়গায় নামাজ আদায় বন্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে ঘরে বসেই নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত