ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

করেনায় চিকিৎসায় আশার আলো

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২০, ১২:৩৯  
আপডেট :
 ২৪ মে ২০২০, ১২:৪৯

করেনায় চিকিৎসায় আশার আলো

করোনাভাইরাসের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর পরীক্ষা শুরু করছেন এক দল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওযা গেছে।

গুরুতরভাবে অসুস্থ করোনা রোগীদের সারিয়ে তুলতে এই ওষুধ কাজ করতে পারে বলেও জানায় বিজ্ঞানী।

এ প্রসঙ্গে কিংস কলেজের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী অধ্যাপক এড্রিয়ান হেডে বলেন, কোভিড নাইনটিনের আক্রমণে শরীরের টি-সেলের কী দশা হয় সেটা দেখে অবাক হয়েছি। এই কোষগুলো আমাদের রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু এই ভাইরাস এমনভাবে তাদের আক্রমণ করছে যাতে তাদের সব শক্তি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে তাদের সংখ্যা এমন নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে যাতে লড়াই করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একজন সুস্থ মানুষের এক মাইক্রো লিটার (০.০০১ মিলিলিটার) রক্তবিন্দুতে থাকে দুই থেকে চার হাজার 'টি-কোষ'। এই কোষ বা টি-সেলের আরেকটা নাম হল 'টি লিম্ফোসাইট'।

গবেষকরা বলছেন এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তারা রক্তে টি-কোষের আচরণ ও মাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা গড়ে তুলতে পারবেন এবং তারা আশা করছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাদের জন্য এটা খুবই গুরুতর হয়ে উঠতে পারে তার একটা আগাম ধারণা তারা করতে পারবেন।

লন্ডনের গাইস অ্যান্ড সেন্ট টমাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা বিষয়ক চিকিৎসক মনু শঙ্কর-হরি বলেন, যেসব কোভিড রোগীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আনা হচ্ছে তিনি দেখেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর এক মাইক্রো লিটার রক্তবিন্দুতে এই লিম্ফোসাইট কোষের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৮০০তে নেমে গেছে। এসময় যখন তারা সেরে উঠছে তখন তাদের রক্তে লিম্ফোসাইটের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করছে বলেও জানান তিনি।

চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হবে যেসব রোগীর লিম্ফোসাইট বা টি-কোষের সংখ্যা খুব কমে গেছে এবং যারা তিনদিনের বেশি নিবিড় পরিচর্যা তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি এসব রোগীর ক্ষেত্রে কোষের সংখ্যা ওষুধ দিয়ে বাড়াতে পারলে তারা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠবেন। আমি ক্রিটিকাল কেয়ার ডাক্তার। যারা কোভিডে গুরুতর অসুস্থ আমি তাদের দায়িত্ব নিই। এখন এই রোগের সরাসরি কোন চিকিৎসা যেহেতু নেই, তাই আমার কাজ হচ্ছে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা এবং যতটা সম্ভব তার সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য দেয়া।

তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এরকম একটা চিকিৎসার সুযোগ আসাটা আমাদের মত ক্রিটিকাল কেয়ার ডাক্তারদের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক খবর। যে ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে পুরো একটা জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে সেই ভাইরাস আসলেই একেবারে আলাদা, একেবারেই অজানা। যার আচরণ পুরো নজিরবিহীন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত