করোনার মাঝেও ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২০, ১৩:৩২ আপডেট : ২৬ মে ২০২০, ১৪:১৫
ভারত-চীন সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে উভয় দেশ। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এ সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছে লাদাখ ও সিকিম সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায়। এই অবস্থায় ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লাদাখের পরিস্থিতি।
প্রতিবেদনে জানাযায়, ভারত প্যানগং সো ও গালওয়ান উপত্যকায় শক্তি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। ওই দুই অঞ্চলে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ চীনের সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার শক্তি এই অঞ্চলে যথেষ্ট বেশি রয়েছে।
দুদেশের সীমান্তের বহু উল্লেখযোগ্য স্থানে চীনা সেনার বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরোনোর অভিযোগ করেছে ভারত। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনার।
এ প্রসঙ্গে নর্দান আর্মি কমান্ডার লে.জে (অব.) ডিএস হুডা মনে করেন, বিষয়টা গুরুতর। এটা কোনো সাধারণ সীমা লঙ্ঘন নয়। তার মতে, গালওয়ানের মতো এলাকায় সীমান্ত অতিক্রম উদ্বেগের বিষয়। কেননা ওই সীমান্তরেখায় কোনো সমস্যা নেই।
জানা গেছে, গত দুসপ্তাহে গালওয়ান উপত্যকায় শক্তি বাড়িয়েছে চীনা সেনা। ১০০টি শিবির তৈরি করেছে তারা। বাঙ্কার নির্মাণের ভারী উপকরণও মজুত করা হয়েছে সেখানে। এর প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনা ‘আক্রমণাত্মক টহলদারি’ শুরু করেছে ডেমচক ও দৌলত বাগ ওল্ডিসহ বহু স্থানে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে ২৫০ চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনা।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম