ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

পুলিশি নির্যাতনে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গের হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। করফিউ দিয়েও বিক্ষোভ ঠেকানো যাচ্ছে না। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার বিচারের দাবিতে শুক্রবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের বাইরে সমাবেশ করেছে কয়েকশ মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যগুলোতেও। বিক্ষোভকারী বিভিন্ন ভবন ও যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। বাদ যায়নি সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র অফিসও।

পুলিশি হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউজের কাছে জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল নিহত ফ্লয়েডের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। বিক্ষোভকারীরা তার শেষ বাক্য ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’বলে স্লোগান দেয়। এসময় হোয়াইট হাউজের প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ দুটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

বিক্ষোভ ঠেকাতে শুক্রবার এবং শনিবার দুপুরে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিনিয়াপোলিস রাজ্যের শহরগুলোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কারফিউ অমান্য করে সেখানে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ভবনে অগ্নিসংযোগ করে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, ডেনভার, হিউস্টন, লুইসভিলে, ফিনিক্স, কলম্বাস এবং মেমফিসসহ বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল।

বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টা শহরের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালায়। এমনকি তারা মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র কার্যালয়েও হামলা চালায়। এসময় তারা একটি পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।

এদিকে মিনিয়াপলিস থেকে বিক্ষোভের খবর সরাসরি সম্প্রচার করার সময় সিএনএন’র তিন সংবাদকর্মীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য তিনজনকেই মুক্তি দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন সিএনএন’র আটক কর্মীরা

কিন্তু এসব বিক্ষোভ ঠেকাতে কোনওরকম চেষ্টা করছেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের আরও উসকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি টুইটারের মাধ্যমে উস্কানি ছড়াচ্ছেন।

ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বিক্ষোভকারীদের ‘গুন্ডা’ হিসাবে উল্লেখ করে ‘লুটতরাজ করা হলে গুলি চালানো হবে’ বলেও হুমকি দিয়েছেন।

পুলিশি হেফাজতে নিহত জর্জ ফ্লয়েড

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত