ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ফ্লয়েড: ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ফ্লয়েড: ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

ক্রমাগত হাঁটুর চাপে ঘাড়ে ও পিঠে সংকোচনের কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উল্লেখ করে সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প।

মিনিয়াপলিসের এক পুলিশ অফিসার নিরস্ত্র ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরেন। আট মিনিটের উপর এ ভাবে হাঁটু দিয়ে চেপে রাখায় শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের।

আইনজীবী বেন ক্রাম্প জানান, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা নেই। ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্ট নিয়ে তার সন্দেহ ছিল। এই কারণে তিনি জর্জের পরিবারকে আলাদা করে ময়নাতদন্ত করানোর কথা বলেছিলেন।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে ওই আইনজীবী জানান, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তার উপর পিছনে পুলিশ অফিসারের ভারী ওজনের কারণে জর্জের পক্ষে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের তরফে আলাদা করে এই ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। যদিও সরকারি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে এই রিপোর্টের কোনও মিল নেই।

মিনিয়াপলিসের সরকারি ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফ্লয়েড হার্টের সমস্যা ভুগছিলেন। যার কারণে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মাটিতে চেপে ধরা তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে ফ্লয়েডের পরিবার এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তার কোনও হার্টের সমস্যা ছিল না এবং তিনি কোনও ওষুধ সেবন করতেন না।

এদিকে ডেরেক চৌভিন নামের যে পুলিশ কর্মকর্তার হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়েছে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি।

জর্জের পরিবারের আইনজীবী জানান, বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত ডেরেকের বিরুদ্ধে এবার ফার্স্ট-ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনারও প্রস্তুতি চলেছে।

গত সোমবার (২৫ মে) হাতে হাতকড়া বাধা অবস্থায় জর্জ ফ্লয়েডের উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় ওই চার পুলিশ অফিসার। ওই কৃষ্ণাঙ্গ বারবার বাঁচার আকুতি জানালেও তা উপেক্ষা করেন ডেরেক। মাটিতে চেপে ধরা ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে তিনি হাঁটু সরাননি। লোকজনের স্মার্টফোনে তোলা মিনিয়াপলিসের পুলিশি অত্যাচারের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিক্ষোভে। মিনিয়াপলিসে এই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে। কারফিউ দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না সেই বিক্ষোভ।

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত , গ্রেপ্তার ৪ হাজার

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত