ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনায় মানুষের স্থান দখল করছে ‘উগো’ রোবট

করোনায় মানুষের স্থান দখল করছে ‘উগো’ রোবট

জাপানের সঙ্কুচিত কর্মীদের শক্তিশালী করার জন্য মীরা রোবোটিকস তাদের ‘উগো’রোবোটটি আরও উন্নত করেছে। তবে করোনাভাইরাস হুমকির মধ্যেও জাপানের কোম্পানি এই রোবটকে মহামারি প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসাবে উপস্থাপন করছে। এ কথা জানিয়েছেন ওই সংস্থাটির সিইও।

টোকিওর নিহটবর্তী কাওয়াসাকি এলাকায় অবস্থিত এই কোম্পানির সিইও কেন মাতসুই রয়টার্সকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস এই রোবটের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে। কারণ তারা মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ কমাতে সহায়তা করতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর ও ফ্রান্সসহ বিদেশের অনেক দেশেই খোঁজখবর নিয়েছি।’

রিমোট-কন্ট্রোল চালিত এই রোবট বা তথাকথিত অবতার রোবোটের সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি তার হাতে থাকা অতিবেগুনী আলো ব্যবহার করে দরজার হাতলগুলিতে লেগে থাকা ভাইরাসগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম।

জাপানে দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে দেশটিতে বছরে ৫ লাখের বেশি কর্মী বাহিনী কমে যাচ্ছে। কিন্তু এসব শূন্য পদ পূরণে বিদেশি শ্রমিক আমদানির অনীহা থেকেই এসব রোবোটের বিকাশের ওপর জোর দিয়েছে জাপান।

পাশাপাশি করোনাভাইরাস সম্পর্কিত চাহিদার উত্থান তাদের সেই কাজকে আরও বেগবান করেছে।

মীরা রোবোটিক্স কম্পানির উগো রোবোটের রয়েছে একজোড়া চাকাচালিত হাত। এগুলো ল্যাপটপ এবং গেম কন্ট্রোলারের সাথে তারবিহীন সংযোগের মাধ্যমে বসানো আছে, যেগুলো রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে কাজ করতে সক্ষম। এর বেসে লাগানো একটি পরিসীমা-পরিমাপকারী লেজার এটিকে চলাচল করতে সহায়তা করে। আর বন্ধুত্বপূর্ণ চেহারা দেওয়ার জন্য এর রয়েছে একজোড়া চোখ।

মাটসুই বলেছিলেন, রোবটটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে, যার প্রতিটি অপারেটর চারটি মেশিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, এরকম একটি উগো রোবট ভাড়া নিতে হলে মাসে এক হাজার ডলার খরচ করতে হবে। আর এদের নিরাপত্তা প্রহরী, সরঞ্জাম পরিদর্শন ও শৌচাগার এবং অফিস ভবনগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে লাগোনো সম্ভব।

আর মাতসুইয়ের টোকিওর অফিস ভবনেও একটি উগো রোবট কাজ করছে বলেও জানা যায়।

সূত্র: রয়টার্স

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত