ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

যে কারণে হোয়াইট হাউজে যেতে চাননি মেলানিয়া!

যে কারণে হোয়াইট হাউজে যেতে চাননি মেলানিয়া!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেছিলেন তার স্ত্রী মেলানিয়া, বিশেষ করে প্লাস্টিক সার্জারির কথা। গোপন করেছিলেন নিজের প্রকৃত বয়সও। এছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি সম্পাদনের আগে তিনি হোয়াইট হাউসেও প্রবেশ করতে চাননি।

সম্প্রতি নতুন এক বইয়ে এসব দাবি করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ম্যারি জর্ডান। তার ওই বইটি খুব তাড়াতাড়ি বাজারে আসছে বলে জানা গেছে।

তার আগে বইয়ের কিছু চৌম্বক অংশ নিয়ে পোস্টে লিখেছেন জর্ডান। এই তথ্য সামনে আসার পর বইটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ‘দ্য আর্ট অব হার ডিল: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব মেলানিয়া ট্রাম্প’ শিরোনামের এই বইটিতে একশ’র বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

লেখক জর্ডানের দাবি, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া হোয়াইট হাউজে যেতে অনেক সময় নিয়েছিলেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, বিয়ের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার যে চুক্তি হয়েছিল সেটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি হোয়াইট হাউজে যেতে চাননি।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের উদ্ধৃতি দিয়ে জর্ডান লিখেছেন, মেলানিয়া তার সংসারের একমাত্র সন্তান ব্যারনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বিয়ের আগেই ট্রাম্পের সঙ্গে একটি আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন।

এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলেন মেলানিয়া। এই ধাক্কা সামলাতেই সময় নেন তিনি। এছাড়া ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও চুক্তিতে জোর দেন।

ব্যারনকে ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা থেকে বাদ দেওয়া হবে না, এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তিনি হোয়াইট হাউজে যেতে সম্মত হন। দাবি জর্ডানের।

বইটিতে মেলানিয়া সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন ফার্স্ট লেডি খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী, স্থির ও কঠিন হৃদয়ের। তিনি স্বেচ্ছায় বন্ধুহীন জীবনযাপন করেন। তিনি ছেলে ব্যারন (১৪) ও নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।

তবে জর্ডান তার বইতে আরও দাবি করেন, ট্রাম্প ও মেলানিয়ার শয্যা আলাদা হলেও তারা একজন অন্যজনকে খুব ভালোবাসেন।

তবে ট্রাম্পের প্রথম ঘরের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের সঙ্গে বনিবনা নেই মেলানিয়ার। ইভানকাকে গোপনে ‘দ্য প্রিন্সেস’বলে ডাকেন তিনি। আর ইভানকা মেলানিয়াকে ডাকেন ‘দ্য পোট্রেট’বলে।

আর ইভানকা নাকি মেলানিয়ার হোয়াইট হাউজে আসা আরো দেরি করাতে চেয়েছিলেন। ফার্স্ট লেডির অফিসের নাম পরিবর্তন করে ফার্স্ট ফ্যামিলি অফিস রাখার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইভানকা।

এই বইয়ে আরো থাকছে, ইভানকা ও মেলানিয়া এই দুই নারীই নিজেদের মতো করে ট্রাম্পের ওপর প্রভাব খাটান। হোয়াইট হাউজের দুই প্রান্তে তাদের দুজনের অফিস। তাই দুজন কখনই পরস্পরের মুখোমুখি হন না। কেবল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বা বড় কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানেই তাদের একসাথে হতে দেখা যায়।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত