ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সর্বদলীয় বৈঠকে সোনিয়ার তোপের মুখে মোদি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২০, ২২:২৭

সর্বদলীয় বৈঠকে সোনিয়ার তোপের মুখে মোদি

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মোদি। তবে সেই বৈঠকে বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অমিত শাহর আমন্ত্রণে আয়োজিত শুক্রবার সর্বদলীয় ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর সরাসরি প্রশ্ন ছিলো, কবে থেকে চীনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে শুরু করে? আগ্রাসনের কথা কবে জানতে পারে সরকার? সরকার কি ভারতীয় সীমান্তের উপগ্রহ চিত্র আগে পায়নি? LAC-তে চীনা সেনার সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে কি কোনও গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল না? সরকারকে কি আগাম সতর্ক করা হয়নি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এক্ষেত্রে কি আগাম সতর্ক করতে ব্যর্থ?

লাদাখে চীনের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া ওই সর্বদলীয় বৈঠকে দেশটির কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া এসব কথা বলেন।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, নীতিশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে, কেসিআর, মায়াবতী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ। যদিও এই বৈঠকে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পাননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসিরা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধী বলেন, এই মুহূর্তে লাদাখের কী পরিস্থিতি তা দেশবাসী জানতে চায়। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য যে মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্প গঠন করা হয়েছিল, তা বর্তমানে কী অবস্থায় আছে? তা নিয়েও প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত লাদাখে পর্যায়ক্রমে কী ঘটেছে না ঘটেছে, সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিরোধীদের অবগত করার দাবি জানান তিনি। লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন বিরোধীদের 'ব্রিফ' করার কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী।

সোনিয়া গান্ধী আরো বলেন, আরও আগেই এই বৈঠক ডাকা উচিত ছিল। ৫ মে যখন বিভিন্ন রিপোর্টে লাদাখে চীনা সেনার সন্দেহভাজন গতিবিধি সামনে আসতে শুরু করে, তখনই এই বৈঠক ডাকা উচিত ছিল। এরপর ৬ জুন সীমান্তে দুই বাহিনীর কমান্ডার বৈঠক করে। এর মাঝে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৬ জুনের পরেও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে চীনের নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। লাদাখে ২০ জন জওয়ান শহীদ (নিহত) হয়ে গিয়েছেন। এটা কাম্য ছিল না।

একইসঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় কংগ্রেস ও সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশে আছে। দেশের জন্য যেকোনও রকম আত্মত্যাগে কংগ্রেস প্রস্তুত। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের কাছে এখন দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভারতের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত