ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অ্যান্টিবডি না থাকলেও ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৬:১১

অ্যান্টিবডি না থাকলেও ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব

করোনা প্রতিরোধে যাদের দেহে অ্যান্টিবডি নাই তাদের দেহেও খানিকটা প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে বলে জানাগেছে নতুন এক জরিপে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনা মানুষের দেহকোষে ঢোকার আগেই এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসের সঙ্গে আটকে গিয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। আর যদি অ্যান্টিবডি এটা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে করোনা দেহকোষের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সেটাকে আরো ভাইরাস তৈরির কারখানায় পরিণত করে।

সুইডেনের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের ওই জরিপটির গবেষকরা বলেন, প্রতিরোধ ক্ষমতা আসে ‘টি-সেল’ নামে রক্তে থাকা আরেক ধরণের কোষ থেকে, যার কাজ কোন দেহকোষে সংক্রমণ হলেই তাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করা।

এই জরিপ রিপোর্টের অন্যতম প্রণেতা সহকারী অধ্যাপক মার্কাস বাগার্ট বলেন, করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতার গবেষণায় এতদিন বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে অ্যান্টিবডির দিকেই। এটা হচ্ছে ইংরেজি ওয়াই অক্ষরের মতো দেখতে একটা প্রোটিন যা ঠিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে একটা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার মতো করেই কাজ করে ।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অথ্যাপক ড্যানি অল্টম্যান বলেন, এটা একটা চমৎকার জরিপ, যাতে আবারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে মানুষের করোনা-প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাপারটা শুধু অ্যান্টিবডি টেস্ট দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়।

কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের জরিপে কিন্তু দেখা গেছে, কোভিড-১৯ রোগীরা যত বেশি অসুস্থ - তাদের দেহে অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল ততই বেশি।

যারা ইতোমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছে এমন দেহকোষগুলো টার্গেট করে এবং সেগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলে। ফলে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে অন্য সুস্থ কোষ আক্রান্ত হতে পারে না।

বিজ্ঞানীদের দাবি, টি-সেলের এক ধরনের ‌‌স্মৃতিশক্তি আছে। তারা ভাইরাসটাকে চিনতে পারলেই এটা কোন কোন কোষগুলোকে সংক্রমিত করেছে তা টার্গেট করে সেগুলো ধ্বংস করতে থাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত