ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

৮৬ বছর পর হাইয়া সোফিয়ায় আজানের ধ্বনি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২০, ১৭:৫৮  
আপডেট :
 ১১ জুলাই ২০২০, ১৮:০১

৮৬ বছর পর হাইয়া সোফিয়ায় আজানের ধ্বনি

বাইজান্টাইন আমলে নির্মিত স্থাপত্য ইস্তাম্বুলের খ্যাতনামা হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়ার পর সেখান থেকে আজান দেয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার তুরস্কের প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। এসময় নামাজ পড়ার জন্য হাইয়া সোফিয়াকে খুলে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

টুইটারে এক পোস্টে মি. এরদোয়ান জানান, হাইয়া সোফিয়ার সম্পত্তি 'দিয়ামাত' বা তুর্কী ধর্মীয় বিষয়ক দফতরের হাতে সোপর্দ করা হবে।

এরপরই হাইয়া সোফিয়াতে প্রথমবারের মত আজান দেয়া হয়। সরকারের কট্টরপন্থী সমর্থক 'হাবার টিভি'সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে এই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।

এর আগে সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা ঠিক ছিল না বলে রায় দিয়েছে তুর্কী আদালত। এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকারের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান এটিকে মসজিদ বানানোর আদেশে সই করেন।

দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। ষষ্ঠ শতাব্দিতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে হাজিয়া সোফিয়া নির্মিত হয়।

ওই সময় এটিই ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯৩৪ সালে সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো- ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।

মে মাসে ইস্তাম্বুল বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান হাইয়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করেন। ওই সময় এটিকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস ও রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা শুরু করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত