ইসরাইল-আমিরাত নতুন চুক্তিতে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২০, ২০:৫২ আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২০, ২১:৪০
মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবার ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে। গোপনে বহুবছর দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্ক বজায় থাকলেও এবার প্রকাশ্যে এমন ঘোষণায় মুসলিম বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ‘আব্রাহাম’ নামের নতুন এ চুক্তির ঘোষণা দেন। এ চুক্তির ফলে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন করে দখলদারি চালাবে না বলে কথা দেয় ইসরাইল। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে চুক্তির অংশ হিসেবে আপাতত জমি দখলের বিষয়টি স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়। এর আগে জর্ডান ও মিশরও একই ধরণের চিুক্তি করেছিল ইসরাইলের সাথে।
ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এ চুক্তিকে জেরুজালেম ও মসজিদে আকসার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করে এ চুক্তিকে প্রত্যাহার কর হয়েছে। তবে অমিরাতের পক্ষ থেকে বাস্তাবিক প্রয়োজনেই এ চুক্তি করা হয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়।
এ চুক্তিকে কৌশলগত বোকামী বলে এর কঠোর সমালোচনা করেছে ইরান। নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা এবং বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলো এ চুক্তি মেনে নেবে না বলেও হুশিঁয়ারি দেয় ইরান।
তুরস্কের পক্ষ থেকে আমিরাতের এ চুক্তিকে ‘ছলনাময় ব্যবহার’ উল্লেখ করে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না বলে সতর্ক ককরা হয়।
অন্যদিকে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য,ওমান, বাইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ায় এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেও আখ্যায়িত করা হয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া জানালেও গলফভুক্ত প্রধান দেশ সৌদি আরব এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তবে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইলের যুদ্ধের সময়ের সৌদি বাদশাহ কিং ফয়সালের ছবিযুক্ত অনেক ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হতে দেখা যায়। তৎকালীন সময়ে ইসরাইলের পক্ষ নেয়ায় আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ব্যববস্থা হিসেবে জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাদশাহ ফয়সাল।
বাদশাহ ফয়সালের একটি বক্তব্য টুইটারে খুব বেশি ভাইরাল হয়েছে। আর সেটি হলো , ‘যদি সব আরব দেশ ইসরাইলের অস্তিত্ব মেনে নিয়ে ফিলিস্তিনকে ভাগ করতে রাজি হয়েও যায়, তবুও আমরা তাতে অংশ নিবো না’