শোকে-শ্রদ্ধায় বিদায়ী স্যালুট প্রণবকে
যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব ব্যানার্জির। দিল্লির লোদী রোডে বন্দুকের গুলির মাধ্যমে স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয় দেশটির ১৩তম রাষ্ট্রপতিকে। এরই মাধ্যমে পাঁচ দশক দিল্লিতে দাপিয়ে বেড়ানো এক বর্ণময় বাঙালি রাজনীতিবিদ প্রণব যুগের অবসান হলো। খবর আনন্দবাজারের।
চিকিৎসাধীন থাকাকালীন প্রণবের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তাই দিল্লির রাজাজি রোডের বাড়ি থেকে শুরু করে লোদী রোড মহাশ্মশান, সর্বত্রই কোভিড প্রোটোকল মেনে শেষকৃত্য করা হয়। পিপিই কিট পরেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন পুত্র অভিজিৎ ব্যানার্জি। পরিবারের অন্য সদস্যরাও সবাই পিপিই পরে শামিল হয়েছিলেন শেষকৃত্যে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্মশানেও লোকসংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছিল।
এর আগে দিল্লির সমারিক হাসপাতাল থেকে প্রণবের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার বাসভভনে। সেখানে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন ও বিরোধীসহ সব দলের রাজনীতিকরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তবে করোনার কারণে মৃতদেহ বাড়ির একটি ঘরে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে একটি বেদি তৈরি করে প্রণবের ছবি রাখা হয়। সেই ছবিতেই ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সবাই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানান উপ রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, সস্ত্রীক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ বহু নেতাকর্মী-মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষ।
হাসপাতে ভর্তি হওয়ার আগে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন প্রণব। প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার তার মৃত্যু হয়। সাবেক এ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত। একই সঙ্গে একদিনের রাষ্টীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে।
নকি
