ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ কী?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:০৬

ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ কী?

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা কথিত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। মঙ্গলবারের এ আয়োজনে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বাহরাইন-ইসরায়েল শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে এক মাসে আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক মাস না পেরোতেই উপসাগরীয় দ্বিতীয় দেশ এবং মিসর, জর্ডান ও আমিরাতের পর আরব বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় বাহরাইন।

অথচ দশকের পর দশক ধরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে বয়কট করে আসছিল। ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান হলেই কেবল ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন হতে পারে, এমন ইঙ্গিত ছিল এসব দেশের। ইসরায়েলের সঙ্গে হঠাৎ কেন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়ে ওঠছে মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলো সেটা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে।

উপসাগরীয় দেশ দুটি বাণিজ্যসহ আরও কিছু সুবিধা দেখতে পাচ্ছে। এই চুক্তি উচ্চাভিলাষী আমিরাতিদের সহায়তা করবে; যারা নিজেদেরকে সামরিক শক্তিতে আরও সমর্থ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্যবসা করার কিংবা অবকাশ যাপনের জায়গা তৈরি করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো কিনতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ইএ-১৮ জি গ্রোলারের মতো অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট।

চুক্তিতে ইসরায়েলের প্রাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২০ এর এর দশকে প্রথম বর্ণিত ইহুদি রাষ্ট্র এবং আরবদের মধ্যে একটি ‘আয়রন ওয়াল’ নামক কৌশলটিতে বিশ্বাসী ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আয়রন ওয়াল নামের এই ধারণাগত কৌশলের অর্থ হলো, ইসরায়েল আরব দেশগুলোকে এটা উপলব্ধি করতে বাধ্য করাবে যে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেয়া ছাড়া আরবদের হাতে আরও কোনো উপায় নেই। মধ্যপ্রাচ্যে বিচ্ছিন্ন থাকতে চায় না ইসরায়েল।

ট্রাম্প এখন প্রচার চালাচ্ছেন যে, তিনিই বিশ্বের সেরা ‘ডিলমেকার’। এ ছাড়া ইসরায়েলের জন্য কিংবা আরও স্পষ্ট করে বললে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের লাভ হয় এমন কিছু করলে আমেরিকার কট্টর খিস্টান ধর্মাবলম্বী ভোটারদের ভোট পেতে সুবিধা হবে তার। কেননা আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজের ভিত্তি তৈরি মাধ্যমে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সবার স্বার্থ থাকলেও ফের বঞ্চিত ফিলিস্তিন। তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন হলো আরও ক্ষীণ। যে আরবদের সহযোগিতায় তারা রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছিল তারাই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। বাহরাইন-আমিরাতের চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা অভিহিত করে ফিলিস্তিন বলছে, এটা আমাদের পিঠে ছুরিকাঘাত। সামনে সৌদি ছাড়াও আরও আরব দেশ এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত