ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরান ইস্যুতে কী করবেন বাইডেন?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫১  
আপডেট :
 ১৯ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫৮

ইরান ইস্যুতে  কী করবেন বাইডেন?

যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "আন্তর্জাতিক সমঝোতার রীতি নীতি ভেঙে পড়ছে।" তিনি আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন যে সেই কাজটা তিনি খুব দ্রুতই করবেন। এখন ইরানের বিষয়ে বাইডেনের মনোভাব বা ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিবিসি।

এ ধরনের বিষয়ে কাজের যে লম্বা তালিকা জো বাইডেনের হাতে রয়েছে তার একটি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়া। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামের এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ২০১৫ সালে।

এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এতে সই করেছিল ইরান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয় এই সমঝোতাকে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর পরই এই চুক্তিটি বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটুকু করেই থেমে থাকেন নি, পুরো চুক্তিটি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। পরের দু'বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু তারপরেও ইরানকে দমানো সম্ভব হয়নি। বরং তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন কি পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন? বর্তমান সময় এবং আমেরিকার বিভক্ত রাজনীতির মধ্যে তার পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ইরান বিশেষজ্ঞ আনিসে বাসিরি তাবরিজি বলেছেন,"তার কৌশল খুব পরিষ্কার। কিন্তু সেটা করা সহজ হবে না"

এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঝড় সামাল দিয়েছে ইরান। এখন তাদের নিজেদেরও কিছু দাবি আছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়াই যথেষ্ট হবে না।

ইরান আশা করছে, আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যেসব অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। ইরানে আগামী বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী শিবিরগুলো এ বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আগে ট্রাম্প যা কিছুই করুন না কেন এটা পরিষ্কার যে, জো বাইডেনের জন্যে তিনি পরিস্থিতি আরো কঠিন করে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই সময়ের মধ্যে ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত