ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাচীন যুগেও কি ভারতীয়রা আতশবাজি ফাটাতেন?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১৫  
আপডেট :
 ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২১

প্রাচীন যুগেও কি ভারতীয়রা আতশবাজি ফাটাতেন?
প্রতীকী ছবি

প্রাচীন ভারতে হিন্দুরা তাদের উৎসবের সময় আদৌ আতশবাজির ব্যবহার করতেন না, সামাজিক মাধ্যমে এই দাবি করার পর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছেন ব্যাঙ্গালোরের একজন ডাকসাইটে নারী পুলিশ কর্মকর্তা। ডি রূপা মৌদগিল বা ‘ডি রূপা’ নামে পরিচিত ওই সিনিয়র আইপিএস অফিসারকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

তামিলনাডুর রাজনৈতিক দল ডিএমকে-র নেত্রী কানিমোয়ি বা কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি’র তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে আতশবাজির ব্যবহার নিয়ে ডি রূপার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিল ‘ট্রু ইন্ডোলজি’ বা ‘প্রকৃত ভারততত্ত্ব’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল - তারপর টুইটার কর্তৃপক্ষ সেই হ্যান্ডলটি ব্লক করে দিয়েছে।

‘ট্রু ইন্ডোলজি’কে যাতে আনব্লক করা হয়, তার জন্যও এখন জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে ভারতে। অনেক দক্ষিণপন্থী ব্যক্তিত্ব সেই দাবিতে সমর্থনও জানাচ্ছেন।

কিন্তু কীভাবে সূত্রপাত হল এই তুমুল বিতর্কের - যাতে এখন ভারতের পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে অভিনেত্রী, অ্যাক্টিভিস্ট বা রাজনীতিবিদরা অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন?

এই বিতর্কের সূচনা আসলে এ বছরের দীপাবলীর দিনে (১৪ নভেম্বর) ডি রূপার একটি টুইটার পোস্টকে ঘিরেই। দীপাবলীকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আতশবাজির বেচাকেনা ও জ্বালানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, সেই পটভূমিতেই ওই পোস্টটি করেছিলেন ব্যাঙ্গালোরের ওই জনপ্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা।

টুইটারে তিনি নিজেরই একটি ফেসবুক লিঙ্ক পোস্ট করেন, যাতে লেখা ছিল, ‘আমাদের উৎসব কি এতই অন্তঃসারশূন্য যে আতশবাজি না-ফাটালে উৎসব হবে না? দীপ জ্বালিয়ে, মানুষের সঙ্গে দেখা করে বা মিষ্টি বিলি করে কত ভাবেই না উৎসব পালন করা যায়! অথচ কিছু লোক বাজি ফাটানোর জন্যই জেদ ধরে থাকবে!’

ডি রূপা আরও লেখেন, আতশবাজি ফাটানো যাচ্ছে না বলে যারা হিন্দুদের সর্বনাশ হয়ে গেল রব তুলছেন, তাদের উদ্দেশে বলব বৈদিক যুগের আগে-পরেও কিন্তু বাজি ফাটানোর কোনও রীতি ছিল না। আমাদের পুরাণ-মহাকাব্যেও আতশবাজির কোনও উল্লেখ নেই। এই দেশে আতশবাজি এসেছে ইউরোপীয়ানদের হাত ধরে। কাজেই এটা কখনওই হিন্দু ধর্মের ‘কোর ট্র্যাডিশন’ বা মৌলিক পরম্পরা, রীতিনীতির অংশ নয়! সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

অন্যরা যা পড়ছে:

> আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধে জড়িত অস্ট্রেলিয়ান সেনারা

> বাইডেন শিবিরে গোপনে যোগাযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের!

> সামরিক ব্যয়ে ৩০ বছরের রেকর্ড ভাঙছে ইংল্যান্ড

  • সর্বশেষ
  • পঠিত