ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০০:২৯

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার
ছবি: সংগৃহীত

২০০০ -এর দশকের শুরুতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ‘ইরানের সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয়া’ শীর্ষ এক পরমাণু বিজ্ঞানী শুক্রবার গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন।

ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, ঘাতকরা তাকে গুলি করার আগে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। কূটনীতিকরা ওই পরমাণু বিজ্ঞানীকে ‌‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, চিকিৎসক দল তাকে বাঁচাতে পারলো না। বছরের পর বছর নিজের কাজ আর সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া বিজ্ঞানী ও তার ম্যানেজার কয়েক মিনিট আগে শহীদ হন।’

রেভ্যুলেশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, বিজ্ঞানী মহসিন ফখরিজাদেহকে তেহরান থেকে কিছুটা উত্তরের ছোট শহর আবজার্দে হত্যা করা হয়েছে।

আল-জাজিরা জানাচ্ছে, মহসিন ফখরিজাদেহের হত্যা নিয়ে মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তার (মহসিন) নামটি মনে রাখবেন।’

একটি অসমর্থিত ছবির বরাতে মিডলইস্ট মনিটর বলছে, ইরানি বিজ্ঞানীর ব্যবহৃত কালো গাড়ির গ্লাস ছিদ্র করে বুলেট ভেতরে প্রবেশ করেছে। সড়কেও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ রয়েছে।

নিরাপত্তা কর্মীদের বরাতে তেহরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি করে পরে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়।

এক দশক ধরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানীদের ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ জন্য অভিযুক্ত ইসরায়েল। নিজেরা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত করলেও ইরানের সেই সক্ষমতা অর্জনকে হুমকি হিসেবে দেখে দেশটি।

২০১০ থেকে ২০১২ এই দুই বছরে ইরানের চারজন শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। ইরানের অভিযোগ পশ্চিমাদের মদদে ইসরায়েলের গোপন ঘাত বাহিনী তাদেরকে হত্যা করেছে।

ইরানের কথিত আমাদ (আশা) পারমাণবিক কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন মহসিন। ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, এটা ইরানের সামরিক কর্মসূচি। এর মাধ্যমে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে।

তবে তেহরানের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে একে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে দাবি করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি বলছে, ২০০০ দশকের শুরুতে ইরানের ‘আমাদ’ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত