ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

মহাকাশে নাসার মূলা চাষ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৪৮  
আপডেট :
 ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:২৯

মহাকাশে নাসার মূলা চাষ

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বসে থাকার দিন শেষ। মহাকাশ চষে গ্রহ-তারাদের নিত্য নতুন খবর দিতে হবে নভোচারীদের। তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। সেই পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া বাসি খাবার চলবে না। একেবারে টাটকা ফল, সবজী দিয়ে রান্নাবান্না হবে মহাকাশে। সে জন্য এখন চাষের কাজে মন দিয়েছে নাসা।

চাষ বললেই তো হল না, এ তো আর পৃথিবীর মাটি নয়। মহাকাশে যেখানে হাওয়া বাতাস নেই, মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও নেই, সেখানে চাষ করা চাট্টিখানি কথা নয়। মাটি লাগবে, পানি, সার, আলো সবই লাগবে। আর মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা শূন্য মাধ্যাকর্ষণে এমনিতেই ভেসে ভেসে থাকতে হয় মহাকাশচারীদের, সেখানে ফসল ফলানোর ঝামেলাও কম নয়।

তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা নাসা এসব সমস্যাকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে। সেই কবে থেকেই চাষবাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এতদিনে তার ফল মিলেছে। টাটকা ফসল ফলেছে মহাকাশেই। মুলার বীজ দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এখন কচি কচি পাতা বেরিয়েছে। ফলও ধরেছে।

আইএসএস-এর কলম্বাস ল্যাবরেটরি মডিউলের প্লান্ট হ্যাবিটাট-২-তে বীজ থেকে গাছ গজিয়ে ওঠার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। তাতে চৌকো একটি চৌকো আকারের একটি বাক্সে নানা ধরনের তারের মাঝখানে ২০টি সবুজ পাতা সম্বলিত চারাগাছ দেখা গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মূলা চাষ করতে খুব বেশি সময় লাগে না। মূলা কাঁচাই চিবিয়ে খাওয়া যায়। আবার এর পুষ্টিগুণও বেশি। তাই মহাশূন্যে মূলা চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর কিছু দিন পরেই মাটি খুঁড়ে মূলা তোলা হবে। পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হবে পৃথিবীতে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত