ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বামদের সঙ্গে ইসলামপন্থীদের জোটের সমালোচনায় তসলিমা

  ময়ুখ বসু, কলকাতা

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২১, ০৯:৩৪

বামদের সঙ্গে ইসলামপন্থীদের জোটের সমালোচনায় তসলিমা
তসলিমা নাসরিন

ভারতের পশ্চিমঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়াল সেকুলার ফ্রন্টের জোট বন্ধনকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতাদর্শের দুটি দলের সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। বামপন্থী ও আব্বাসের দলের মধ্যে কোন কোন বিষয়ে মতবিভেদ রয়েছে তাও তুলে ধরলেন তসলিমা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি বলেছেন, বামপন্থী দল যখন ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে হাত মেলায় তখন বড় দুঃখ হয় তার। তিনি বলেন, বামপন্থীরা বলে নারীর সমান অধিকার চাই, ইসলামপন্থীরা বলে নারীর সমান অধিকার চাই না। বামপন্থীরা বলে মানবাধিকার চাই, ইসলামপন্থীরা বলে মানবাধিকার চাই না।

বামপন্থীরা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই, ইসলামপন্থীরা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই না। বামপন্থীরা বলে ধর্মে বিশ্বাস নেই, ইসলামপন্থীরা বলে নাস্তিকের ফাঁসি চাই। বামপন্থীরা বলে মাক্স লেনিন জিন্দাবাদ, ইসলামপন্থীরা বলে মাক্স লেনিন নিপাত যাক। বামপন্থা বিশ্বাস করে রেভ্যুলেশনে, ইসলামপন্থা বিশ্বাস করে ক্রিয়েশানিজমে।

বামপন্থীরা বলে ধর্ম হলো আফিম, ইসলামপন্থীরা বলে সবার উপরে ইসলাম ধর্ম, তাহার উপরে নাই। বামপন্থীরা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা চলবে, ইসলামপন্থীরা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা করলে মুন্ডু কেটে ফেলব। ফলে সম্পূর্ণ দুটি বিপরীত আদর্শ কী করে সহবাস করতে পারে তা তিনি জানেন না বলেও মন্তব্য করেন।

তসলিমা বলেন, ওদের সহবাসের ফলে বিজ্ঞানী জন্ম নেয় না, বরং জিহাদী জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে তসলিমা অপর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করে বলেন, একটি দেশে অনেকগুলি রজনৈতিক দল থাকা ভালো। সেক্ষেত্রে কলকাতার ব্রিগেডে বাম-কংগ্রেস এবং আব্বাসের জনসভ্র প্রশংসাও করেন তিনি।পাশাপাশি বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বলেন, বাংলাদেশে তো সরকারের দল ছাড়া আর কোন দলও নেই।

বাকি সবদল হয় মৃত, নয় অর্ধমৃত। একইসঙ্গে তাকে কলকাতা থেকে তাড়ানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তসলিমা। বলেন, কলকাতাকে ভালোবেসে কলকাতায় থাকতে এসেছিলাম, কিন্ত রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলি আমাকে ভালোবাসতে পারেনি।

ভারত থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পরেও তিনি ভারতেই ফিরে আসতে পেরেছেন এবং তাকে ভারতে থাকতে দেয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তবে ফের যদি তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে তিনি ইউরোপে চলে যাবেন বলেও ইঙ্গিত দেন। কারন তিনি বর্তমানে ইউরোপের নাগরিক।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত