ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চীন-তাইওয়ানের আনারস যুদ্ধ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২১, ১২:৪৭

চীন-তাইওয়ানের আনারস যুদ্ধ
সংগৃহীত ছবি

আনারস নিয়ে চীন-তাইওয়ান রিতিমতো যুদ্ধে নেমেছে। আনারস নিয়ে এমন উত্তপ্ত বিতর্ক এর আগে কখনো হয়নি। গত মাসে চীন তাইওয়ান থেকে আনারস আমদানি নিষিদ্ধ করে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ক্ষতিকারক পোকার ঝুঁকি, যা চীনের নিজস্ব ফসলের ক্ষতি করতে পারে। আর এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের নেতাদের ক্ষুব্ধ করেছে। তারা মনে করেন আমদানি নিষিদ্ধের সঙ্গে ‘বাগের’ কোনো সম্পর্ক নেই। বরং চীন তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতেই এটা করেছে। কারণ তাইওয়ানকে সব সময়ই চীন নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। সূত্র: রয়টার্স।

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘তাইওয়ানের আনারস যুদ্ধবিমানের চেয়ে শক্তিশালী। ভূরাজনৈতিক চাপ এর স্বাদ নষ্ট করতে পারবে না।’ তাইওয়ানের কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুসারে, দ্বীপটিতে বছরে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টন আনারস উৎপাদন হয়। এর ১০ শতাংশের কিছু বেশি গত বছর তারা রপ্তানি করে, যার পুরোটাই যায় চীনে। চীন আমদানি বন্ধ করায় এই সব আনারস মজুত হয়ে রয়েছে এবং দাম ব্যাপকভাবে কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সোসাই ইংগ-ওয়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ‘আনারস চ্যালেঞ্জ’ চালু করেছেন। যার লক্ষ্য তাইওয়ানের মানুষ একে অপরকে যেন এখন আরও বেশি কিনে দেয়। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ তাঁর মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে সমমনা শুভাকাঙ্ক্ষীকে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। হ্যাশট্যাগ ফ্রিডমপাইন্যাপে যোগ দিতে অনুরোধ করেন।

তাইওয়ানে কার্যকর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দূতাবাস এতে সমর্থন দিয়েছে। তাইওয়ানে মার্কিন ইনস্টিটিউটগুলো ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে। মার্কিন ইনস্টিটিউটের একজন পরিচালক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন নিজের ডেস্কে তিনটি আনারস রেখে একটি ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাইপেতে কানাডার নানা অফিসও একই ধরনের কাজ করছে। এক পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা কানাডার অফিস পিৎজাতে আনারস খুব পছন্দ করি, বিশেষ করে তাইওয়ানের আনারস!’ এদিকে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এক বছর ধরে চীন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য অস্পষ্ট এবং অস্বচ্ছ বাণিজ্য নীতি ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত