ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘটে মমতা

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘটে মমতা
মমতা ব্যানার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটের আগে সৃষ্টি হয়েছে নাটকীয় পরিস্থিতির। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে অবস্থান ধর্মঘটে বসার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আনন্দবাজার।

সোমবার রাতে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় একথা জানিয়েছেন মমতা নিজেই। সেখানে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেলা ১২টা থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘটে বসবো।’

এর আগে ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতার নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন। প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মমতা। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তৃণমূল শিবির। মমতার দলের নেতা ও কলকাতার সাবেক মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘আজ গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন।’

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির শাখা সংগঠন নির্বাচন কমিশন কুৎসিতভাবে মমতার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করল। কুৎসিত করে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এর প্রতিবাদ করায় প্রচারে নিষেদাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই অপচেষ্টা সফল হবে না।’কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন,‘১২ এপ্রিল, গণতন্ত্রের কালো দিন।’

উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এরপরই তৃণমূল সভানেত্রীকে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানানো হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠায় কমিশন।

কেন গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি তা জানতে চাওয়া হয় ওই নোটিশে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, ‘একটা কেন ১০টা নোটিশ পাঠাতে পারেন আমাকে।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘু ভাইবোনদের কাছে হাত জোড় করে বলছি, বিজেপির কাছ থেকে যে শয়তানরা টাকা নিয়েছে, তাদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। মমতার মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির নেতৃত্বে অভিযোগ জানায় প্রতিনিধি দল। তারপরই কমিশন মমতার প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত