ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

মোদি-দিদি তত্ত্বে আটকে থাকতে চায় না সিপিএম

  ময়ুখ বসু, কলকাতা

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২১, ১৭:৪০

মোদি-দিদি তত্ত্বে আটকে থাকতে চায় না সিপিএম
ফাইল ফটো

মোদিভাই-দিদিভাই তত্ত্বে আর আটকে থাকতে চায় না পশ্চিমবাংলার সিপিএম। সেক্ষেত্রে তারা এবার নতুন নীতি নিয়ে আগামী দিনে পথ চলতে চাইছে। রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শুধুমাত্র কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই থেমে থাকেনি, জোটে সঙ্গী করে নিয়েছিলো আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকেও। কিন্ত জোট গড়েও বিধানসভায় নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারেনি সিপিএম।

জোটে থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেসও। এই বিপর্যয়ের নেপথ্য কারণ কি, তা নিয়েই এখন মাথাব্যাথা বেঁধেছে বঙ্গ সিপিএমের। হারের জন্য দলের কোন নীতি দায়ী তা নিয়ে চলছে কাটাছেড়ার অঙ্ক।

সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক নিয়ে ইতোমধ্যেই সরগরম হয়ে ওঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের নির্বাচনে সিপিএম মূলত ঠিক করে উঠতে পারেনি তাদের প্রধান শত্রু কে? একুশের ভোট প্রচারের ময়দানে তারা বারবার বিজেপি এবং তৃণমূলকে একই মেরুতে রেখে আক্রমণ শাণিয়েছে। আর সেটা করতে গিয়ে কার্যত ল্যাজে গোবরে হতে হয়েছে তাদের। সাধারণ মানুষের সামনে তারা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি, তারা কাদের বিরোধীতা করছে।

মূলত, সিপিএম এবারের ভোট প্রচারে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিলো, তৃণমূল এবং বিজেপি আলাদা কিছু নয়। যে কারণে তারা একইসঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একই সমান্তরাল রেখায় রেখে বিজেমূল বলে আক্রমণ শুরু করে। আর সেটা করতে গিয়েই, মানুষের আস্থা হারিয়েছেন তারা। বাংলার মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়ে গেছিলো, সিপিএম হয়তো বিজেপিকে আটকাতে চাইছে না সেভাবে, সেক্ষেত্রে তারা তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে। ফলে নেতৃত্বের পরিকল্পনায় যে ভুল ছিলো তা সিপিএমের একাংশ আজ প্রকাশ্যে বলতে শুরু করে দিয়েছেন।

তাদের মতে, একুশের ভোট প্রচারে বিজেমূল বলে একসাথে আক্রমণ না করে যদি তৃণমূল এবং বিজেপিকে আলাদা আলাদা ইস্যুতে আক্রমণ করে লড়াই করতো তাহলেই হয়তো ভালো হতো। একুশের ফলাফলের উপর ভর করে সিপিএম নেতৃত্বের একটা বড়ো অংশ চাইছে, আগামী দিনে সিপিএমের প্রচার পরিকল্পনায় বদল ঘটাতে।

তাদের দাবি, দলকে আগে বুঝতে হবে মানুষ কি চায়। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর উপরেই জোর দিতে চাইছেন সিপিএম নেতৃত্বের সিংহ ভাগ।

এদিকে ইতিমধ্যেই, সিপিএমের রাজ্য কমটি স্বীকার করে নিয়েছে, তৃণমূল এবং বিজেপি থেকে তাদের সমদূরত্ব নীতি বিসর্জন দিতে হবে। কারণ, এই নীতি বাংলার মানুষ গ্রহণ করেনি। যা নিয়ে সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা চলে। আর সেই আলোচনার পরেই মোদি-দিদি তত্ত্ব থেকে সরে এসে নয়া নীতিতে আগামী দিনে পথ চলার পরিকল্পনা নিচ্ছে পশ্চিমবাংলার বিজেপি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত