ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানে গোপন অভিযানের তথ্য ফাঁস করলেন সাবেক মোসাদপ্রধান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২১, ০৮:৫৭

ইরানে গোপন অভিযানের তথ্য ফাঁস করলেন সাবেক মোসাদপ্রধান
ছবি: সংগ্রহীত

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা (মোসাদ) প্রধানের দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়েছেন ইয়োসি কোহেন। বিদায়ী মোসাদপ্রধান ইরানে দেশটির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বেশ কিছু তথ্য এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন। চ্যানেল ১২-এর সাংবাদিক ইলান দায়ানের সঙ্গে এবিষয়ে সবিস্তারে কথা বলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি ইসরায়েলি টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

ইরানের পারমাণবিক আর্কাইভ থেকে কীভাবে নথি চুরি করা হয়েছে- সেটারই বর্ণনা দিয়েছেন কোহেন। মোদাসপ্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে নাশকতা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। খবর বিবিসি

সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইরানের পারমাণবিক আর্কাইভ থেকে চুরির বিস্তৃত বিবরণ। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা এসব নথি প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি অভিযোগ করেন, ইরান যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, এগুলো তারই প্রমাণ। ইরান এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলো।

কোহেন জানান, এসব তথ্য চুরির পরিকল্পনা করতেই দুই বছর লেগেছে। মাঠে মোসাদের মোট ২০ জন এজেন্ট কাজ করেছেন। তারা কেউই ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না।

তেল আবিবে কমান্ড সেন্টারে বসে চুরি করা প্রত্যক্ষ করে কোহেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউসের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে, ৩০টির বেশি আলমারি থেকে তথ্য বের করে। কোহেন বলেন, এটি ছিল আমাদের জন্য অসাধারণ উত্তেজনাকর মুহূর্ত।

এই নথি চুরির কথা ইসরায়েল প্রকাশ্যেই স্বীকার করে আসছে। কিন্তু কোহেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, এতদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে নাশকতায় ইসরায়েল জড়িত বলে যে গুজব রয়েছে তা আসলেই সত্যি।

গত বছরে নিহত বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেহকে নিয়েও কথা বলেন সাবেক মোসাদপ্রধান; যিনি নভেম্বরে তেহরানের বাইরে একটি সড়কে আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। মহসেন ইরানের শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ছিলেন। যদিও এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। বলেন, কয়েক বছর ধরে এই বিজ্ঞানী তাদের টার্গেট ছিলেন। তার বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের কারণে মোসাদ উদ্বিগ্ন ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের শেষ দিকে কোহেনকে মোসাদপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শষে ১৯৮২ সালে সংস্থাটিতে যোগ দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কর্মজীবনে তার কয়েকশ’ পাসপোর্ট ছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত