ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সাড়ে ৫ কোটি টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ১৪:৫৮  
আপডেট :
 ২২ জুন ২০২১, ১৫:২৮

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সাড়ে ৫ কোটি টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বিভিন্ন দেশকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে ১ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে, সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।

করোনা মহমারির চলমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে জরুরি ভিত্তিতে যেসব দেশের টিকা প্রয়োজন, সেরকম দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ৮ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তার বাস্তবায়ন আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

সোমবার হোয়াইট হাউস বিশ্বজুড়ে করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিজের মজুত থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় এবং সরাসরি সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা বণ্টনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ) হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা গেছে, এশিয়ার জন্য এক কোটি ৬০ লাখ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, লাওস, পাপুয়া নিউ গিনি, তাইওয়ান, কম্বোডিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৪০ লাখের মতো টিকা ‘আঞ্চলিক অগ্রাধিকারের’ ভিত্তিতে সরাসরি দেওয়া হবে বিভিন্ন দেশে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনামসহ ৩০টি দেশ।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। তবে এসব টিকা সরবরাহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে টিকাসংক্রান্ত সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ তথ্যগুলো পরস্পর ভাগাভাগি করতে হবে। উপযুক্ত তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভাষাগত জটিলতার মতো বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সে দেশের মজুত থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে, তা হবে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত। তবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে এবং সবুজসংকেত পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল-ওআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত