ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়লেন অমরিন্দর সিং

  ময়ুখ বসু, কলকাতা

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:০৫

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়লেন অমরিন্দর সিং
ছবি সংগৃহীত

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অমরিন্দর সিং। শনিবার বিকেলে রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েই তিনি দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, যথেষ্ট অপমানিত বোধ করছি। আর সেই কারণেই সরে দাঁড়ালাম মুখ্যমমন্ত্রীর পদ থেকে। দলনেত্রীর যাদের ওপর আস্থা রয়েছে তারাই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিক।

গত কয়েক মাস ধরেই অমরিন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরে। তাকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। অভিযোগ, এর নেপথ্যে ছিলেন আর এক কংগ্রেস নেতা তথা ভারতের সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু।

এদিন সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অমরিন্দরের মান ভঞ্জনে ময়দানে নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি তারা। পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব সিধুকে দেয়ার পর থেকেই অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠতে শুরু করে।

প্রকাশ্যেই সিধু এবং তার অনুগামী বিধায়করা অমরিন্দরের মুখ্যমন্ত্রী পদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারা সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়ে নালিশ করেছিলেন ভোট প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি অমরিন্দর সিং। তাতে প্রভাব পড়বে ভোট ব্যাংকে এমনই দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর কাছে দরবার করেছিলেন সিধুর অনুগামীরা।

যদিও কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস। আগে শোনা গিয়েছিল অমরিন্দর সিং বলেছিলেন যদি তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয় তাহলে তিনি পার্টি ছেড়ে দেবেন। ফলে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমরিন্দরের এই পদত্যাগ বড় প্রভাব ফেলবে ভোট ব্যাংকে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের প্রবল দ্বন্দ্ব জেনেও সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করায় জট যে বাড়বে তা একরকম জানাই ছিলো। অমরিন্দর প্রথম থেকেই সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচিত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সোনিয়া গান্ধীর কাছেও এই নিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অমরিন্দরের কথাকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস হাইকমান্ড।

এদিক আগামী বছর পাঞ্জাব রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের অন্দরে এই দ্বন্দ্ব ভোট ব্যাংকে প্রবল ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত