ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘জানালাহীন গোসলখানায় লুকিয়ে ছিলাম ১৫ দিন’

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৫৩  
আপডেট :
 ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০৩

‘জানালাহীন গোসলখানায় লুকিয়ে ছিলাম ১৫ দিন’
গ্রীসে নির্বাসিত জীবন আফগান নারী এমপিদের। ছবি: আল জাজিরা

কাবুলে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটির অনেক নারী সংসদ সদস্য পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তালেবান আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে না। কিন্তু এতে আস্থা রাখতে পারেননি এসব নারী এমপিরা। নির্বাসিত জীবন থেকে তারা বলছেন, আফগান নারীদের জন্য তারা কাজ করে যাবেন। এথেন্স থেকে আল জাজিরার জন সারোপৌলসের প্রতিবেদনে চুম্বকাংশ-

গত ২৯ আগস্ট আফগান যোদ্ধারা সাগুফা নূরজাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।

গত আগস্টের মাঝামাঝি কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর হেলমন্দ প্রদেশ থেকে নির্বাচিত আফগান পার্লামেন্টের সদস্য সাগুফা আত্মগোপনের চলে যান।

কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদসাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি একটি জানালাবিহীন গোসলখানা ১৫ দিন অবস্থান করেছিলাম। এমন কী আমার পরিবারও জানতো না যে, আমি কোথায় আছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি কোথায় আছি সেটা জানতে তালেবান আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল।’

আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশ থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হোমা আহমাদি। তিনি বলেন, ‘তারা (তালেবান) সেসব লোকজনকে হত্যা করতে যাচ্ছে, যারা আগের সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে এবং তারা এটা করবে নীরবে।’

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় যাওয়ার পর পরই তালেবানরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। তারা আগের সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতেও বলে। তবে খবর আসছে যে, তালেবান যোদ্ধারা জাতিগত সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করছে এবং সাংবাদিকদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। অবশ্য তালেবানের শীর্ষ নেতারা বার বার বলেছেন, তারা তাদের বিরোধীদের লক্ষ্যে পরিণত করবেন না।

আফগানিস্তানের অনেক নারী এমপির (সংসদ সদস্য) মতো নূরজাই ও আহমাদি দেশ ছেড়েছেন। স্বপরিবারে তারা বর্তমানে গ্রীসের এথেন্সে আছেন। দুটি বেসরকারি সংস্থা- মেলিসা নেটওয়ার্ক ও হিউম্যান রাইটস-৩৬০ তাদের ইউরোপের দেশটিতে পৌঁছে দেয়।

গ্রিসের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তান থেকে সেখানে (গ্রিস) ১৭৭ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আইনজীবী ও বিচারক রয়েছেন।

নাজিফা ইউসুফি বেক, যিনি আফগানিস্তানের তখর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, বলেন, ‘সংসদের প্রবেশে আগেই আমরা অনেক হুমকি পেয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘নারীদের সমর্থনে নীতি নির্ধারণের চেষ্টা করেছি। এটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। এমন কী সংসদের ভেতরেও নারীরা ছিলেন দ্বিতীয় স্তরের।’

এই নারী সংসদ সদস্যরা এখন আর আফগানিস্তানের নারীদের জন্য দেশে থেকে কাজ করার সুযোগ পাবেন না। তবে তাদের দৃঢ় ভাষায় বলছেন, বিদেশের মাটিতে থেকেও আফগান নারীদের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান তারা।

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত