ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওমিক্রনে ‘ঠাণ্ডার ভাইরাসের যোগ’, নতুন তথ্যে বিস্ময়

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:২৩  
আপডেট :
 ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৩০

ওমিক্রনে ‘ঠাণ্ডার ভাইরাসের যোগ’, নতুন তথ্যে বিস্ময়
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

করোনা ভাইরাসের একেবারে নতুন যে ধরনটি সারা বিশ্বে মানুষকে আতঙ্কে রাখছে, তার নাম ওমিক্রন। গত মাসে এ ধরন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। নানা কারণে এটিকে নিয়ে আলোচনা ও গবেষণার শেষ নেই।

তবে একটা বিষয় জানা গেছে যে, করোনার অন্য ধরনগুলো থেকে ওমিক্রন বেশি সংক্রামক। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের জেরে জোর গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। এ ছাড়া ওমিক্রন বিশ্বের নানা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

ওমিক্রনকে শুরু থেকে করোনার অন্য ধরনগুলো থেকে আলাদা বলছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, করোনার আদি যে ধরন চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটি থেকে ওমিক্রন অনেকটাই ভিন্ন।

এবার নতুন এক তথ্য দিলেন গবেষকরা, যা চোখ কপালে ওঠার মতো। তাদের ধারণা, করোনা ভাইরাসের কোনো ধরন যা করেনি, সেই কাজটিই করেছে ওমিক্রন। সে অন্য গোত্রের ভাইরাসের সঙ্গে ‘আত্মীয়তা’ করেছে।

কার্যত মিউটেশন বা জ্বীনগত পরিবর্তনের বিচারে ওমিক্রন অন্যদের চেয়ে বেশ আলাদা। এটির স্পাইক প্রোটিনও অন্য ধরনগুলো থেকে বেশি।

শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা দেখেছেন যে, ওমিক্রন অন্য গোত্রের একটি ভাইরাস থেকে অন্তত একটি মিউটেশন নিয়ে থাকতে পারে। এটি ‘কমন কোল্ড’ বা ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশির ভাইরাস।

গবেষকরা বলছেন, অন্য গোত্রের ভাইরাস থেকে ‘জেনেটিক মেটেরিয়াল’ গ্রহণের মাধ্যমে এ কাজটি করেছে ওমিক্রন। করোনা ভাইরাসের আগের কোনো ধরন এ রকম কোনো আচরণ করেনি। তারা নিজ গোত্রে থেকেই মিউটেশন বা জ্বীনগত আচরণ পরিবর্তন করেছে।

তবে ওমিক্রনের এ ঘটনাকে ইতিবাচকই বলছেন গবেষকরা। ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভ্যাঙ্কি সৌন্দরারাজন বলেন, নিজের মধ্যে বিশেষ এ মিউটেশন গ্রহণের মাধ্যমে ওমিক্রন আরও বেশি ‘মানবিক’ (এখানে মানবদেহের জন্য সহনীয় অর্থে) হয়ে উঠলো।

এ কারণে ওই ভাইরাস মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে মানুষের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিকতর কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি। এ ভাইরাস কেনো এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এটির লক্ষণও কেনো মৃদু- তার বিশ্লেষণ হয়তো এতে রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হয়ে জানেন না যে, ওমিক্রন অন্য ধরনগুলো থেকে কতোটুকু বেশি সংক্রমক, এটা কতোখানি গুরুতর অসুস্থতা এনে দিতে পারে, অথবা এটা করোনার ডেল্টা ধরনের স্থান দখল করে নেবে কিনা। এসব বিষয় নিশ্চিত হতে হয়তো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত