ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সতর্ক করলো বিশ্বব্যাংক

বৈশ্বিক অর্থনীতির বাজে চিত্র, প্রভাব পড়বে প্রবৃদ্ধিতে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫১  
আপডেট :
 ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৮

বৈশ্বিক অর্থনীতির বাজে চিত্র, প্রভাব পড়বে প্রবৃদ্ধিতে
অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি কমলেও চলতি বছর ভারতের বাড়তে পারে। ছবি, বিবিসি।

বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি খারাপ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, মহামারি পরবর্তী আঘাত বিভিন্ন দেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে চলতে পারে। বিশেষ করে, অনুন্নত দেশগুলোর জন্য এ পরিস্থিতির আকার ভয়াবহ হবে।

বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক ভবিষ্যদ্বানী থেকে জানা যায়, গত বছরের (২০২১) ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

ডেভিড ম্যালপাস জানান, এতে বৈশ্বিক অসাম্য বাড়া নিয়ে তার যে বড় ধরনের উদ্বেগ ছিল, সেটি আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে।

তিনি জানান, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলো মুদ্রাস্ফিতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হবে।

বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলো এবং জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতির দেশ ২০২৩ সাল নাগাদ মহামারির আঘাতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে।

তবে কোভিডপূর্ব সময়ের তুলনায় উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের কম থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফিতির মাধ্যমে বিভাজন বাড়ানোর জন্য উন্নত দেশগুলোকে দায়ি করছেন ডেভিড ম্যালপাস।

এর আগে ২০২১ সালে গ্লোবাল ইকোনোমিক প্রসপেক্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ বছরের মধ্যে মহামারি কাটিয়ে দ্রুততর গতিতে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

তবে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন (ওমিক্রন) এবং খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এ অর্জনের গতি চলতি বছর ধীর হয়ে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৮ সালের পর বর্তমানে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো যে, কোভিড ও এর জেরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় (অর্থনীতিতে) ব্যাপক প্রভাব পড়ছে; বিশেষ করে, দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ এটা বেশি মোকাবেলা করছেন।’

বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে।

চলতি বছরে করোনা মহামারি ও মুদ্রাস্ফিতির জেরে ভোগান্তি এড়াতে পারবে না কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশও।

যেসব দেশে প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে চীন। সেখানে গত বছরের ৮ শতাংশ থেকে নেমে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

আর যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নেমে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। ইউরোপের দেশগুলোতে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে নেমে হতে পারে ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস

তবে এসবের মধ্যে ভারতের জন্য সম্ভাবনা দেখছে বিশ্বব্যাংক। তাদের ভাষ্য, চলতি বছর ভারতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। সেখানে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলো ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বড় আকারে কমতে পারে প্রবৃদ্ধি। এসব দেশে ২০২২ সালে যথাক্রমে প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত